আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্র পিটার স্ট্যানো বলেন, ‘রাশিয়াকে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে মিত্রদের দেয়া বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের বিষয়ে আমরা অবগত।’
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার মিত্র ইরান মস্কোকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে। স্ট্যানো বলেন, আমরা আমাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এই বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখছি। যদি দেখা যায়, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অবৈধ আগ্রাসনে রাশিয়ার সমর্থনে ইরান তাদেরকে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে ইরান রাশিয়াকে স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রতিবেদন প্রকাশের পরে ক্রেমলিন বলেছে, ইরান রাশিয়ার অংশীদার এবং তারা সবদিক থেকে সম্পর্ক উন্নয়নে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, তিনি ওয়াল স্ট্রিটের প্রতিবেদনটি দেখেছেন যা অজ্ঞাত মার্কিন এবং ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে করা হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনের পুরোটাই সঠিক নয় বলে দাবি করেন পেসকভ।
পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইরান আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমরা আমাদের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছি, আমরা সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয়গুলোসহ সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা ও সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছি।’
তবে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, যুদ্ধের কোন একটি পক্ষকে অস্ত্র রফতানির ক্ষেত্রে ইরানের ভূমিকার দাবি আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল শুক্রবার প্রতিবেদনে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় মিত্রদের জানিয়েছে যে, ইরান রাশিয়াকে স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে।
কিউএনবি/আয়শা/০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/রাত ৮:৩০