খোরশেদ আলম বাবুল শরীয়তপুর প্রতিনিধি : দুর্নীতি ও নানান অনিয়মে জড়িত শরীয়তপুর ইসলামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার আধিপত্তবাদী সহ-সুপার তহিরুন নেছা অবশেষে জনরোশের ভয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। গত ২৯ আগস্ট মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার বরাবরে লিখিত পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
যার অনুলিপি তিনি মহাপরিচালক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক, শরীয়তপুর। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সদর শরীয়তপুর, জেলা শিক্ষা অফিসার শরীয়তপুর, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সদর, শরীয়তপুর ও ম্যানেজার অগ্রণী ব্যাংক শাখাকে দিয়েছেন বলে জানাযায়।
এর পূর্বে সহ-সুপার তহিরুন নেছার অপসারণের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবরে ১৩০ জন এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত একটি আবেদন করেন। সে আবেদনে তহিরুন নেছা ভারপ্রাপ্ত সুপার থাকা কালে তার সংগঠিত ১৫টি অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে মাদ্রাসার ইট, টিন, গাছ ও ঘর বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ। মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি। স্বেচ্ছাচারিতা, অবৈধদখল, মাদ্রাসার ফ্যান গোপনে বিক্রি ও ছাত্রীদের উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাৎসহ নানান অনিয়ম।
এই বিষয়ে শরীয়তপুর যৌক্তিক আহবানের সমন্বয়ক মাকসুদ অভি জানায়, এই প্রতিষ্ঠানে ৭ শতাধিক শিক্ষঅর্থী ছিল। এই সহ-সুপার অযৌক্তিক ভাবে দীর্ঘ ১৫ বছর ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সময় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে ৭০ জনে এসে পৌঁছেছে। অযোগ্য এই সুপার শুধু বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা ছাড়া ভালো কিছুই করেনি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা যৌক্তিক আহবান শরীয়তপুরের পক্ষ থেতে কাজ শুরু করি।
এক পর্যায়ে গত ২৯ আগস্ট সহ-সুপার পদত্যাগ করে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে। এটাও ছাত্রদের আরেকটি বিজয়। সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দময় ভৌকিম বলেন, সহ-সুপার তহিরুন নেছা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। চাপের মুখে পদত্যাগ করেছে কিনা তা জানতে প্রতিষ্ঠানে যাই। সেখানে গিয়েও জানতে পারি সে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
কিউএনবি/আয়শা/০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪,/বিকাল ৪:৫২