স্পোর্টস ডেস্ক : রোববার (২৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানান আসিফ। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচ জয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং শেখ হাসিনা সরকারের পতনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই মাস থেকে থেকে বাংলাদেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এছাড়া চলমান বন্যার কারণে জনমনে খানিকটা অশান্তি কাজ করছে। বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক জয় মানুষের মধ্যে স্বস্তি এনে দিবে বলে বিশ্বাস ক্রীড়া উপদেষ্টার।
তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বিক সংকটাপন্ন পরিস্থিতি এবং বন্যার ফলে সৃষ্ট ক্রান্তিকালে এই ঐতিহাসিক জয় জনগণের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির। জাতীয় ক্রিকেট দলের পরবর্তী টেস্ট ম্যাচসহ ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করছি।’বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জারি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে স্মরণীয় এক টেস্ট হয়ে থাকবে। প্রতিপক্ষের মাটিতে বাংলাদেশের এমন দাপুটে জয় ইতিহাসে আর কখনো দেখা যায়নি। তাও এমন দলকে হারিয়েছে, যাদের সঙ্গে গত ২১ বছরে একটি টেস্টও জেতেনি টাইগাররা।
টস জিতে বোলিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। ১৬ রানে স্বাগতিকদের ৩ উইকেট ফেলে দেয় বাংলাদেশি পেসাররা। তবে সাইম আইয়ুব, সৌদ শাকিল এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে খেলায় ফেরে পাকিস্তান। শাকিলের ১৪১ এবং রিজওয়ানের অপরাজিত ১৭১ রানে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৮৮৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশও ভালো শুরু পায়। মুশফিকুর রহিমের ১৯১, সাদমানের ৯৩, মেহেদী হাসান মিরাজের ৭৭, লিটন দাসের ৫৬ ও মুমিনুলের ৫০ রানের ওপর ভর করে প্রথম ইনিংসেই লিড পায় বাংলাদেশ। সবগুলো উইকেট হারিয়ে ৫৬৫ রান তোলে টাইগাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ইনিংসে যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের চেপে ধরে বাংলাদেশি বোলাররা। সাকিব, হাসান মাহমুদরা ধসিয়ে দেন পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। তিনজন ব্যাটার আউট হন কোনো রান না করেই। একমাত্র রিজওয়ান ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই তেমন রান পাননি। আব্দুল্লাহ শফিক ৩৭, বাবর আজম ২২, রিজওয়ান ৫১ ও শান মাসুদ করেন ১৪ রান। এছাড়া আর কোনও ব্যাটার ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। সাকিব আল হাসান ও হাসান মাহমুদ নেন ৩টি করে উইকেট। শেষ পর্যন্ত ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। আর বাংলাদেশের জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩০ রান।
মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোনো বেগ পেতে হয়নি টাইগারদের। ৬.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম মিলে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। আর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে টেস্টে হারালো বাংলাদেশ। এই টেস্ট জয়ে ২০০৩ সালের মুলতান টেস্ট হারের আক্ষেপ কিছুটা হলেও ঘোচাতে পেরেছে টাইগাররা। সেবার জয়ের অনেক কাছে গিয়েও হারতে হয়েছিল টাইগারদের।
কিউএনবি/আয়শা/২৫ অগাস্ট ২০২৪,/রাত ১০:২২