আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আঞ্চলিক রুশ কর্মকর্তাদের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। আঞ্চলিক গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে টেলিগ্রামে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, রাকিটনয়ের বসতিতে ইউক্রেনীয় হামলায় আহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে।
গ্ল্যাডকভ বলেন, ‘যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমরা অবশ্যই তাদের সাহায্য করব। আমাদের কাজ এখন সহ্য করা। এই পরীক্ষাগুলো অতিক্রম করা এবং সমস্যার মোকাবিলা করা। পাল্টা হামলা চালিয়েছে রাশিয়াও। উত্তর ও পূর্ব ইউক্রেনের কিছু অংশকে লক্ষ্য করে রাতারাতি বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়ে রুশ বাহিনী। তবে এসব হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের চেরনিহিভ, সুমি, খারকিভ ও দোনেৎস্ক অঞ্চল লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে লক্ষ্যে আঘাত হানার আগেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে সেগুলোর বেশিরভাগই ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে হঠাৎ করেই স্থল আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেনীয় সেনারা। এরপরই তারা রুশ ভূখণ্ডে তাদের হামলা বাড়িয়েছে। এরপর আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে, ইউক্রেনের বোমা হামলার কারণে গ্ল্যাডকভ এই অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
ইউক্রেনের এই হামলার জবাবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কুরস্ক অঞ্চলটিতে আরও বেশি সেনা পাঠাচ্ছে। রোববার মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে পেছনে হঠাতে সেনাদের সহায়তার জন্য কুরস্কে আরও আর্টিলারি ইউনিট প্রেরণ করা হয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/২৫ অগাস্ট ২০২৪,/রাত ৯:৫৫