স্পোর্টস ডেস্ক : আজ বুধবার (২১ আগস্ট) রাওয়ালপিণ্ডিতে শুরু হওয়া টেস্টে খেলছেন সাকিব আল হাসান। সিরিজের পরের টেস্টেও সাকিবের খেলা অনেকটাই নিশ্চিত। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জাতীয় দলে সাকিবের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখছেন অনেকেই।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় সাকিব দেশে ছিলেন না। সে সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলায় ব্যস্ত ছিলেন। দেশের ছাত্র-জনতার ওপর তৎকালীন সরকার নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করলে সারা দেশ ফুঁসে ওঠে। জাতীয় দলে সাকিবের অনেক সতীর্থ সে সময় সরাসরি ছাত্রদের পক্ষ নিলেও সাকিব ছিলেন নিশ্চুপ। সংসদ সদস্য বনে যাওয়া এই ক্রিকেটারের নির্বাক থাকাটা দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। এমনকি বিদেশের মাঠেও সমর্থকদের তীক্ষ্ণ বাক্যবাণে বিদ্ধ হন তিনি। টুর্নামেন্ট শেষে দেশেও ফিরেননি তিনি।
এখন প্রশ্ন উঠছে, এভাবে বিদেশে থেকে কতদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন তিনি? আজ মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকেও এই প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, ‘সাকিব বাইরে থেকে খেলতে পারবে কি না, এটা আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখব। তার ব্যাপারটা আসলে…বোর্ডের কিছু পলিসি থাকে। এটা আমি আমার পরিচালকদের সঙ্গে আলাপ করব, পলিসি কী হওয়া উচিত সাকিব আল হাসানের ব্যাপারে।’
তিনি যোগ করেন, ‘বোর্ডে আলোচনা করব, সাকিব এখন কী অবস্থায় আছে, এ অবস্থায় সে কি খেলা চালিয়ে যেতে পারবে কি না। অবশ্যই এটা নির্ভর করবে যে দুটি টেস্ট ম্যাচ আছে তারপর…তখন এটা একটা বোর্ডের পলিসি ম্যাটার হবে।’পাকিস্তান সিরিজে সাকিবকে দলে নেয়ার প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেছিলেন, মেধার ভিত্তিতেই তাকে দলে নেয়া হয়েছে, রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে আজ ফারুক বলেন, ‘প্রধান নির্বাচক (গাজী আশরাফ) যেটা বলেছেন, সেটা খুব ভালো লেগেছে। তাঁকে (প্রধান নির্বাচককে) যদি বোর্ড থেকে বলে দেওয়া হতো, ওকে (সাকিব) নেওয়া হবে না, তাহলে এটা পলিসি ম্যাটার হতো।’জাতীয় দলে অনেক তারকাই খেয়ালখুশি মতো ম্যাচ খেলতে চান। টুর্নামেন্ট চলাকালীন বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়া বা সাক্ষাৎকারে বিতর্কিত কথা বলায় সাকিব আল হাসানের বদনাম আছে। ফারুক এমন আচরণের বিরুদ্ধে। ক্রিকেটারদের কঠোর নিয়মের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
ফারুক বলেন, খেলোয়াড়দের ব্যাপারে কিছু নিয়ম যোগ করা হবে। তারা কী করতে পারবে, কী করতে পারবে না, এটা আমি আজকেই এখানে ঢোকার আগে ইনফরমালি আলাপ করেছি। বিশেষ করে সফর চলাকালে, সফরের আগে–পরে ক্রিকেটাররা কী করতে পারবে নাকি পারবে না, এসব থাকবে। আপনার যদি লিখিত থাকে, সফর চলাকালে আপনি কোনো বিজ্ঞাপন করতে পারবেন না, তাহলে এটার জন্য আপনার কাছে কেউ আসবে না। এটা যদি পরিষ্কার লেখা থাকে, তাহলে সুবিধা হবে।’
কিউএনবি/আয়শা/২১ অগাস্ট ২০২৪,/রাত ১০:৩২