মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ফুলের মতো পবিত্র মানুষগুলোই আপনাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে”–কুড়িগ্রামে পথসভায় ব্যারিস্টার ফুয়াদ কিম বাহিনীর সঙ্গে উত্তেজনা, প্রতিরক্ষা জোরদারের ঘোষণা দক্ষিণ কোরিয়ার মাশরাফি-সাকিবের রেকর্ড ভেঙে রিশাদের ইতিহাস ট্রফি ফিরে পেতে নকভিকে ভারতের চিঠি নোয়াখালীতে বিনা ভোটে বিজয়ী হতে নমিনেশন ফরম ছিঁড়ে প্রার্থীর ভাইকে মারধর পাঁচপুকুরিয়ায় মিঠুন দম্পতির অসামাজিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ফুলবাড়ীতে গ্রামপুলিশ কর্তৃক শিক্ষককে মারপিটের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ফুলবাড়ীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার যোগদান চৌগাছায় কৃষকের আত্মহত্যা ভূরুঙ্গামারীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ সমাবেশ

একজন নেতা মারা গেলে আরেকজনের জন্ম হয়

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪
  • ৮৮ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তিনি বলেছিলেন, ‘আল্লাহই মানুষের জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। এবং আল্লাহ সবকিছু সম্পর্কে অবগত। যদি একজন নেতা চলে যান, তাহলে আরেকজনের উত্থান হবে।’ হানিয়া এসব আরবি ভাষায় বলেছিলেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই তার গেস্ট হাউসে সন্দেহভাজন ইসরাইলি হামলায় তিনি নিহত হন।

হানিয়ার এই মন্তব্য টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। যেখানে খামেনিকে উদ্দেশ করে এসব কথা বলেছেন হানিয়া। এর মধ্যদিয়ে তার ইসলামের প্রতি গভীর বিশ্বাস প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘাতে তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং জীবন দর্শন পরবর্তীতে তার কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করেছে। হানিয়ার এই জীবন দর্শন হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের দ্বারা প্রভাবিত।
 
১৯৮০ সালে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইয়াসিন জিহাদ ঘোষণা করেন। ইসরাইল ২০০৪ সালে তাকে কারাদণ্ড দেয় এবং পরে হত্যা করে। ১৯৯৪ সালে গাজায় রয়টার্সের একটি সাক্ষাৎকারে হানিয়া বলেছিলেন, ইয়াসিন তাদের শিখিয়েছেন যে, ফিলিস্তিনিরা তাদের দখলকৃত মাতৃভূমি পুনরুদ্ধার করতে পারে একমাত্র শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে লড়াই করার মাধ্যমে। ফিলিস্তিন দখলে থাকা অবস্থায় কোনো মুসলমান যেন তার ঘরে মারা না যায়। ইয়াসিনকে উদ্ধৃত করে বলেন হানিয়া। 
 
হানিয়া বলেন, তিনি শেখ ইয়াসিনের কাছ থেকে ‘ইসলামের প্রতি ভালবাসা ও ইসলামের জন্য আত্মত্যাগ শিখেছেন। এছাড়া অত্যাচারী ও স্বৈরাচারীদের কাছে কীভাবে নতজানু না হতে হয়, তাও শিখেছেন। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হামাসের একজন দৃঢ় ও অবিচলিত নেতা হয়ে ওঠেন হানিয়া। অনেক বিষয়ে তিনি অকপটে সত্য তুলে ধরেছেন। এপ্রিলে ইসরাইলের বিমান হামলায় তার তিন ছেলে ও চার নাতি-নাতনি নিহত হন। এছাড়া গাজা যুদ্ধে তার পরিবারের অন্তত ৬০ জন সদস্যও নিহত হন।

তাদের মৃত্যুর পর হানিয়া বলেন, ‘আমার সন্তানদের রক্ত ​​ফিলিস্তিনি জনগণের শিশুদের রক্তের চেয়ে বেশি মূল্যবান নয়। ফিলিস্তিনের সব শহীদ আমার সন্তান।’
গত বুধবার (৩১ জলাই) ভোরে তেহরানে এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দেহরক্ষীসহ নিহত হন হানিয়া। সেখানে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন হানিয়া। 
 
হানিয়াকে শুক্রবার কাতারে সমাহিত করা হয়েছে। 
  
সূত্র: রয়টার্স

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৩ অগাস্ট ২০২৪,/রাত ৮:৪৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit