ডেস্ক নিউজ : রাজশাহীর বাঘায় পুলিশের হাতে নারী লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ধন্দহ বিনিময়পাড়া গ্রামে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান তারা।
জানা গেছে, গত ৫ জুন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রোকনুজ্জমান রিন্টুর (আনারস) প্রতীক বিজয়ী হয়েছে মর্মে তার সমর্থিত লোকজন বিজয় মিছিল করেন। প্রতিপক্ষ প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলুর (মোটরসাইকেল) সমর্থক ধন্দহ বিনিময়পাড়া গ্রামের আনিছুর রহমানের বাড়ির সামনে গিয়ে নাচানাচি করে তারা।
এ ঘটনার জের ধরে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আনিছুর রহমানের বাড়ির পাশ দিয়ে একটি ভ্যান নিয়ে বাবুল মোল্লার বরফ মিলে যাচ্ছিল তার ছেলে তুহিন মোল্লা। এ সময় বাধা দেন আনিছুর রহমান। এতে তুহিন ও আনিছুরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে আইনি সহায়তা চান। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে সেখানে স্থানীয় আলম হোসেন, রেজাউল করিম নিজল, ইউপি মেম্বার রেজাউল করিম ও সাবেক মেম্বার মসলেম উদ্দিন এগিয়ে আসেন।
সেখানে উভয়ের মধ্যে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে আনিছুর রহমানের স্ত্রী শামসুন্নাহার লাঞ্ছিত হন। এ বিষয়ে আনিছুর রহমানের স্ত্রী শামসুন্নাহার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতারা এসে পুলিশ দিয়ে আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। সুষ্ঠ তদন্ত করে এর বিচারের দাবি করছি।
এ বিষয়ে বাঘা থানার সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আতাউর রহমান বলেন, উভয়ের মধ্যে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ সবাইকে চলে যেতে বলে। সেখান থেকে সবাই চলে গেলেও এক নারী অশালীন কথা বলতে থাকেন। এরপরও তাকে সরে যেতে বলার পরও সে সরে না যাওয়ায় তাকে ধমক দেওয়া হয়েছে। লাঞ্ছিতের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
কিউএনবি/আয়শা/১৯ জুন ২০২৪,/রাত ১০:০৫