ডেস্ক নিউজ : কুরবানির মাংস কাটার জন্য খাইট্টা প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ। এ খাইট্টা পিস হিসেবে বিক্রি হলেও নাটোরে তা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে। বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্য। নাটোরের খাইট্টা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে।
নাটোর শহরের পশ্চিম আলাইপুর হাফরাস্তায় প্রতিবছর ঈদের আগে বসে খাইট্টার দোকান। গত বছরের তুলনায় এবার খাইট্টার কেজিপ্রতি দামও বেড়েছে। ঈদের আগে এখান থেকেই শহরের ক্রেতারা খাইট্টা কিনেন।
একই এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার খাইট্টা দাম অনেক বেশি রাখছেন বিক্রেতারা। গতবছর ২০ টাকা কেজি হলেও এবার বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে ২৫ থেকে ৩৫টাকা কেজি। বাধ্য হয়েই কিনছেন ক্রেতারা।
তবে হাফরাস্তা এলাকার খাইট্টা বিক্রেতা হুমায়ুন কবির বলছেন, এই বছর গাছের দাম ও শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে খাইট্টার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া এখান থেকে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় খাইট্টা পাঠানো হচ্ছে। এতে কয়েক লাখ টাকার খাইট্টার ব্যবসা হবে বলেও তিনি জানান।
অপরদিকে জেলার বড়াইগ্রাম, বনপাড়া, দয়ারামপুর, গোপালপুর, মালঞ্চি, তমালতলা বাজার, সিংড়া. চাঁচকৈড় ও গুরুদাসপুরে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গোশত কাটার মৌসুমি ব্যবসা কাঠের গুড়ি বা খাইট্টার বেচাকেনা বেড়েছে। এসব এলাকায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খাইট্টার দাম।
খাইট্টা বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, ১০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা দামের খাইট্টা রয়েছে। অন্যান্য জিনিসের মতো কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ায় খাইট্টার দাম বেড়েছে বলে তিনি দাবি করেন। সব কাঠেই খাইট্টা হয় না। তেঁতুল কাঠের গুড়ি দিয়ে সব থেকে ভালো খাইট্টা হয়। তাই এ কাঠের গুড়ির চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি।
বনপাড়ার কালিকপুরের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর কুরবানি উদ্দেশ্যে একটি গরু কিনেছেন। গোস্ত প্রক্রিয়ার জন্য তাই দুটি মাঝারি আকৃতির খাইট্টা কিনতে এসেছেন। দরদাম শেষে ৩৫০ টাকা করে দুটি খাইট্টা কিনেছেন তিনি। তারও দাবি গত বছরের তুলনায় এ বছর খাইট্টার দাম অনেক বেশি।
কিউএনবি/আয়শা/১৫ জুন ২০২৪,/রাত ৮:১৪