ডেস্ক নিউজ : মুক্ত হওয়ার আগে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহতে সর্বশেষ অবস্থান করছিল ৬৫ জন সোমালিয়ান জলদস্যু। মুক্তিপণ পাওয়ার পর এই দস্যুরা গভীর রাতে ৯টি বোটে জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এর আগে অবশ্য তাদের দলনেতা সোমালিয়ার ভাষায় লেখা একটি চিঠি জাহাজটির মালিকপক্ষকে দেয়। মূলত ওই চিঠিটা অনেকটা অনাপত্তি সনদের (এনওসি) মতো।
সেই চিঠিতে কি লেখা ছিল সেটিও জানিয়েছেন এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম। তিনি বলেন, ‘মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। তবে সোমালিয়ার উপকূল ছেড়ে আসতে অন্তত তিনদিন সময় লাগতে পারে। দস্যুদের দলনেতা সোমালিয়ার ভাষায় যে চিঠি দিয়েছে সেটিতে মূলত দুবাই পৌঁছা পর্যন্ত আর কোনো দস্যুগ্রুপ জাহাজটিকে আক্রমণ করবে না সেই নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। লিখেছে, আপনারা সেফটি চলে যেতে পারবেন। দুবাই পর্যন্ত আর কোনো অ্যাটাকের শিকার হবেন না।’
সর্বশেষ কি কথা হয়েছিল তা জানতে চাইলে মেহেরুল করিম বলেন, ‘ও আমাকে বলল অল দ্য বেস্ট। আমিও বললাম আল্লাহ হাফেজ। আর বললাম তোমরা যত তাড়াতাড়ি জাহাজ থেকে নেমে পড়বা, তত দ্রুত নাবিকেরা ফিরতে পারবে।’ অবশ্য এরপরও প্রায় ৮ ঘণ্টা জাহাজে ছিল নাবিকেরা। গভীর রাতেই তারা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, জলে-স্থলে নজরদারি এড়াতেই জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার উপযুক্ত সময় হিসেবে গভীর রাতকে বেছে নেয়।
কেননা মুক্তিপণের অর্থ পরিশোধের সময় জিম্মি জাহাজটির অদূরে ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ। আবার স্থলভাগে ছিল সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড পুলিশেরও টহল ছিল।
কিউএনবি/আয়শা/১৪ এপ্রিল ২০২৪,/বিকাল ৪:৪০