লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : ইফতারের সময় আমাদের পেট একদমই খালি থাকে। খালি পেটে ভাজাপোড়া, ভারি মসলাযুক্ত খাবার খেলে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। সেই সঙ্গে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও হতে পারে। সে জন্য ইফতারে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় ওপরের দিকে থাকে বিভিন্ন ধরনের ফল। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজলভ্য ও স্বল্প খরচে পাওয়া যায় কলা। অধিক পুষ্টি ও কম সময়ে শরীরে শক্তি জোগাতে কলা অত্যন্ত কার্যকরী। কলায় রয়েছে মিনারেল, ভিটামিন ও ফাইবার। এছাড়া একটি মাঝারি মাপের কলায় প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। চেষ্টা করুন প্রতিদিন ইফতারে কলা রাখার। চলুন জেনে নিই ইফতারে কলা খাওয়ার উপকারিতা-
পেট পরিষ্কার করে
হজমে সমস্যা হলে শরীরে অস্বস্তি হয়। তাই পেট পরিষ্কার থাকা খুবই জরুরি। এ কারণে ভালো হজম ও পেট পরিষ্কার রাখার জন্য ইফতারে কলা রাখুন। একটি কলায় প্রায় ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে। ফলে এটি খুব দ্রুত হজম হয়ে যায় ও পেট পরিষ্কারেও ভূমিকা রাখে।
শক্তি বাড়ায়
সারাদিন রোজা রাখার ফলে ইফতারের সময় আমাদের শরীর খুব ক্লান্ত থাকে। ক্লান্তি দূর করে দ্রুত শরীরে শক্তির সঞ্চার করে কলা। কোনো কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে চিকিৎসকরা কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন। কলায় থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান সহজেই শরীরের ক্লান্তি দূর করে।
হাড় মজবুত রাখে
হাড়ের যেকোনো ধরনের ক্ষতি আপনাকে দীর্ঘদিন ভোগাতে পারে। বয়সজনিত কারণ ছাড়াও নানা কারণে আমাদের হাড়ের ক্ষয় হয়। রোজায় শরীরের জয়েন্টে ব্যাথাসহ হাড়ের নানা রকম জটিলতা থেকে বাঁচতে চাইলে ইফতারে নিয়মিত কলা খান। কলায় থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড়কে মজবুত করে ও ভালো রাখে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। কলা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে খুবই কার্যকর। তাই এ সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন ইফতারে রাখুন কলা।
রক্তে শর্করার মাত্রা উন্নত করে
কলা দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ। হজমের সময়, দ্রবণীয় ফাইবার তরলে দ্রবীভূত হয়ে জেল তৈরি করে। এটি একটি কলার স্পঞ্জের মতো টেক্সচারেও অবদান রাখতে পারে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
গবেষণায় দেখা গেছে, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কলার গুরুত্ব অপরিসীম। কলার বেশ কয়েকটি গুণ রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। কলায় তুলনামূলকভাবে কম ক্যালোরি থাকে।
ভালো রাখে হৃদযন্ত্র
কলা পটাশিয়ামের একটি বড় উৎস। এছাড়া পটাসিয়াম একটি খনিজ, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য এবং বিশেষ করে রক্তচাপ ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য আপনার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে পারে।
সূত্র: হেলথলাইন
কিউএনবি/আয়শা/১৯ মার্চ ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:৩৪