নিয়োগপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এর আগের নিয়োগ পরীক্ষায় মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েও টাকা না থাকায় চাকরি পাননি তারা। তবে এবার মাত্র ১২০ টাকা খরচ করেই চাকরি পেয়েছেন। কোনো রকম তদবির বা অর্থ লেনদেন ছাড়াই বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। অভিভাবকরাও স্বপ্নের মতো দেখেছেন বিষয়টি।
শিক্ষার্থী মো. সজিব আখি আক্তার বলেন, আমাদের বাবা শ্রমজীবি । শ্রমিকের কাজ করে। অনেক কষ্ট করে আমাদের পড়াশোনা করিয়েছেন। আজকে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশের চাকরি পেয়ে অনেক আনন্দিত আমরা। আমি সবার কাছে দোয়া চাই। আমিও যেন মানুষের সেবা করতে পারি পুলিশের চাকরি করে।
পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, নিজের যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে আজকের চাকরি পেল ৬৫ তরুণ-তরুণী। যারা আজকে নিয়োগ পেয়েছেন তারা সবাই নিজেদের যোগ্যতা ও মেধায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এতে তাদের কোনো যোগাযোগ, লবিং ও ঘুষ দিতে হয়নি। তাদের মাত্র আবেদন করতে যে খরচ হয়েছে ১২০ টাকা, সেটিই তাদের খরচ। সরকারের জন্য মেধাবী ও দক্ষ পুলিশ জনবল নিশ্চিত করতে পেরে ভালো লাগছে। এসব মেধাবীরা দ্রুত পুলিশের বিভিন্ন কৌশল ও পাঠগুলো আয়ত্ত করতে পারবে। এতে আগের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষ পুলিশ বিভাগ গড়ে উঠবে।
কিউএনবি/আয়শা/১৪ মার্চ ২০২৪,/রাত ৮:০০