ডেস্ক নিউজ : ট্যাক্স প্রদানকারীদের সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, উন্নতি করতে হলে দেশের বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি উঠিয়ে দিতে হবে। বুধবার দুপুরে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (আরসিসিআই) অডিটোরিয়ামে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর না দেওয়ার প্রবণতা আমাদের সহজাত স্বভাব। তবে যাতে করে সবাই স্বপ্রণোদিত হয়ে কর দিতে চায় তার পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ঘরে বসে সবাই এখন ইনকাম ট্যাক্স জমা দিতে ও সার্টিফিকেট তুলতে পারছেন। এনবিআর চেষ্টা করছে ট্যাক্স দানকারীদের সমস্যার সমাধানে। এ সময় তিনি কাস্টমস, ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স নিয়ে সমস্যায় পড়ে সমাধান না পেলে অভিযোগের পরামর্শ দেন।
রাজস্বের ওপর দেশের উন্নয়ন নির্ভরশীল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এনবিআর রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি ব্যবসার উপযোগী উন্নত পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছে। ৯০ শতাংশ পণ্য এখন দেশেই উৎপাদিত হয়। বাকি যে ১০ শতাংশ পণ্য আমদানি করা হচ্ছে তা অভিজাত শ্রেণির মানুষের চাহিদার জন্য। আমাদের হাইস্কিল ম্যানপাওয়ারের প্রয়োজন আছে। ২১ লাখ রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে এখন তা ৪০ লাখে দাঁড়িয়েছে। টিনধারীর সংখ্যা এক কোটির ওপরে।
রাজশাহী চেম্বারের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি করা হচ্ছে তা সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌবন্দর দিয়ে আমদানি করা হলে ব্যয় কমে আসত। যার ফলে ডলারের ওপর চাপ কমে আসবে। এছাড়াও পণ্য পরিবহণে ৭০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে আসত। নৌবন্দরটিকে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা গেলে এখানে ২০ সহস্রাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভব হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু।
উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মাসুদ সাদিক. হোসেন আহমদ, একেএম বদিউল আলম, কর অঞ্চল রাজশাহীর কমিশনার মো. শাহ আলী, রাজশাহীর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট মো. জাকির হোসেনসহ রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ার ব্যবসায়ী নেতা ও উদ্যোক্তা এবং কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্স অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কিউএনবি/আয়শা/০৬ মার্চ ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:২৩