লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : তেলে ভাজা মুখরোচক খাবার খেতে কার না ভাল লাগে। কিন্তু সেগুলো যে স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ওজন বেড়ে যাওয়া, লিভারের সমস্যা, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, পেটের রোগ, ত্বকের নানা সমস্যা – এই সব কিছুরই মূলে আছে খাবারের তেল। তার মানে এই নয় যে, সুস্থ থাকার জন্য মুখরোচক খাবার খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে। ডুবো তেলে না ভেজেও কিন্তু মুখরোচক খাবার বানানো যায়। কীভাবে? জেনে নিন সেই পদ্ধতিগুলো।
এয়ার ফ্রাইং
ভাজাপোড়া রান্না করার সেরা বিকল্প এয়ার ফ্রায়ার। চপ, পাকোড়া, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রায়েড চিকেন- যে কোনো তেলেভাজা অনায়াসে তৈরি করে নিতে পারেন এই যন্ত্রের সাহায্যে। নামমাত্র তেলে সুস্বাদু রান্না হয় এয়ার ফ্রায়ারে। আর কম তেলে রান্না করা খাবার এমনিতেই স্বাস্থ্যকর। এয়ার ফ্রায়ার চালু হলে খুব উত্তপ্ত হাওয়া জোর গতিতে ঘোরে। তাতেই হয় রান্না। এতে তেলের খরচও কমবে, পাশাপাশি শরীরের যত্ন নেওয়াও হবে।
বেকিং
ডিপ ফ্রায়েডের পরিবর্তে খাবার বেক করতে পারেন। তেলেভাজা খাবার এমনিতেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বরং বেক করা খাবার খান। বেক করা পদও কিন্তু কম সুস্বাদু হয় না। মাছ, মাংস কিংবা নানা ধরনের শাকসবজি বেক করে খেতে পারেন।
গ্রিলিং
খাবার গ্রিল করেও খাওয়া যেতে পারে। খেতেও ভাল লাগবে, পাশাপাশি স্বাস্থ্যেরও যত্ন নেওয়া হবে। আজকাল অনেকেই গ্রিলড খাবার বেশি পছন্দ করছেন। মাছ, মাংস এবং শাকসবজি গ্রিল করে খেতে পারেন।
সেদ্ধ
সেদ্ধ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভাল। শাকসবজি থেকে সামুদ্রিক খাবার – সবই সেদ্ধ করে খেতে পারেন। ভাজাপোড়ার বদলে সেদ্ধ খাবার খেতে অনেকেরই অসুবিধা হতে পারে। তবে ভাল করে রান্না করলে সেদ্ধ খাবারও কিন্তু বেশ লাগে। তাছাড়া, সেদ্ধ করা খাবার খেলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কিউএনবি/অনিমা/১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪/রাত ১১:৩১