ডেস্ক নিউজ : নিজেকে শিল্পপতি, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক, কখনো শিক্ষক পরিচয় দিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে সখ্য গড়ে তোলেন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের সঙ্গে। সখ্য গড়ে মেয়েদের সর্বনাশ করতে তার জুড়ি নেই। এভাবেই নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে কয়েক মেয়ের সর্বনাশ করেছেন শাহ আলম (৩৭) নামের এক যুবক।
সর্বশেষ ফরিদপুরের এক কলেজছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
অভিযোগ ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত হান্নান মুন্সীর ছেলে শাহ আলম। ছোটবেলা থেকে শাহ আলমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল এলাকায়। ছাত্রজীবনে একটি স্কুলে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে চাকরির সময় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সেই ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সেই ছাত্রীকে বিয়ে করতে বাধ্য হন শাহ আলম।
এরপর গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় চলে যান শাহ আলম। সেখানে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। ঢাকায় এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক হলে তার প্রথম বিয়ে ভেঙে যায়। পরবর্তীতে ওই মেয়ের সঙ্গেও সম্পর্ক টেকেনি। এরপর বিয়ে করেন খুলনার এক মেয়েকে। সেই ঘরে তার এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
এরপর শাহ আলম আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। সম্প্রতি ফেসবুকে ফরিদপুরের কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়। শাহ আলম নিজেকে শিল্পপতি পরিচয় দিয়ে সেই কলেজছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সম্পর্কের একপর্যায়ে তিনি ঢাকা থেকে প্রাইভেটকার নিয়ে সেই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। পরে প্রাইভেটকারের ভেতরই জোরপূর্বক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে ও তা ভিডিও ধারণ করে রাখে।
পরে ওই ভিডিও দেখিয়ে ফের অবৈধ কাজের কথা জানানো হয় কিন্তু কলেজছাত্রী বাধ্য হয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। পরে পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা নিয়ে শাহ আলমের বিরুদ্ধে গত ১৭ জানুয়ারি ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ মামলা করা হয়। মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন শাহ আলম। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে শাহ আলমকে গ্রেফতার করে।
কোতোয়ালি থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, ধর্ষণ পর্নোগ্রাফি মামলায় শাহ আলমকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিমান্ডে আবেদন জানিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কিউএনবি/অনিমা/৩১ জানুয়ারী ২০২৪,/রাত ১১:২১