স্পোর্টস ডেস্ক : মোহাম্মদ সালাহ, ভিক্টর বনিফেস, ভিক্টর ওসিমেন, আন্দ্রে ওনানা, ইউসেফ এন নেসিরি, গুইরাসি, এন্দো, সন হিউং মিন, তাকুমি মিনামিনো; নামগুলো জানতে ইউরোপীয় ফুটবলের বড় ভক্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই খুব একটা। ইউরোপের ফুটবলকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলতে এই ফুটবলারদের ভূমিকা বেশ। তবে এশিয়ান এবং আফ্রিকান এই ফুটবলারদের নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়ায় চর্চাটা একটু কমই হয়। কিন্তু এবার তাদের ছাড়া লিগ পরিচালনা করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে ইউরোপীয় লিগগুলো।
আফ্রিকান কাপ অব নেশনস আর এশিয়ান কাপের জন্য খেলোয়াড় ছেড়ে দিয়ে রীতিমত বিপাকে ইউরোপের ক্লাবগুলো। সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছে ইতালিয়ান সিরি ‘আ’। এই লিগের ৫১ জন ফুটবলার ক্লাব ছেড়ে লড়ছেন দেশের হয়ে খেলার জন্য। প্রিমিয়ার লিগে সংখ্যাটা অর্ধশত। জার্মান বুন্দেসলিগা ছেড়ে জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন ৩৫ জন। স্প্যানিশ লা লিগা ছেড়েছেন ২৯ জন আর ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে ক্লাব ছেড়েছেন অন্তত ৩০ জনের বেশি ফুটবলার।
আইভরি কোস্ট ও কাতারে এ দুটি আসর চলবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। অর্থাৎ তার আগে এসব ফুটবলারদের পাচ্ছে না দলগুলো। শুধু খেলোয়াড়ই হারায়নি ক্লাবগুলো। এই দুই টুর্নামেন্টের ফলে রেকর্ড সংখ্যক টেলিভিশন দর্শক হারিয়েছে ক্লাবগুলো। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় চার ভাগের তিন ভাগ মানুষের বাস এশিয়া আর আফ্রিকায়। সংখ্যার হিসেবে যা ৫৭৭ কোটির বেশি। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের বড় বাজার এই দুই অঞ্চলে। আফ্রিকান কাপ অব নেশনস আর এশিয়ান কাপ শুরু হওয়ায় খেলোয়াড় হারানোর পাশাপাশি টিভি দর্শক হারিয়েছে ক্লাবগুলো। তাতে ভয়াবহ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে ক্লাবগুলো।
ফুটবলারদের আটাকাতে অবশ্ চেষ্টা কম করেনি ক্লাবগুলো। তবে অনেক দরকষাকষি করেও শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড়দের চাওয়ার কাছেই নত হতে হয়েছে তাদের। এছাড়া ফিফাও খেলোয়াড়দের ছেড়ে দিতে চিঠি দিয়েছিল ক্লাবগুলোকে।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ জানুয়ারী ২০২৪,/রাত ১০:০০