মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন

দল ও প্রার্থীদের মধ্যে আস্থার সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১১৬ Time View

ডেস্ক নিউজ :  প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দলগুলো ও প্রার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সংস্কৃতি গড়ে তোলা উচিত। অন্যথায় আমাদের রাজনীতিতে বা নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সহিংসতাটা কিছুটা থেকে যাবে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও তার সহকর্মীরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নির্বাচনে মানবাধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে ভোটাধিকার, নির্বাচিত হওয়া এবং নির্বাচিত করা এটি একটি ফান্ডামেন্টাল হিউম্যান রাইট। শুধু আমাদের সংবিধান নয়, ইউনিভার্সাল ডেকোরেশন অব হিউম্যান রাইটস এবং পলিটিক্যাল রাইটস, যেগুলোতে আমরা সই করেছি, সেগুলোতে এ বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।  

সিইসি বলেন, তিনি আমাদের যে সহযোগিতা করতে চান, আমরা যে সহযোগিতা করতে চাই, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এ জিনিসগুলো গ্র্যাজুয়েলি যদি আমরা উনাদের (দলগুলোকে) বোঝাতে সক্ষম হই যে সহিংসতা বাদ দিয়ে অহিংস পদ্ধতিতেও নির্বাচন করা সম্ভব, সেই লক্ষ্য আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকা উচিত। আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা নির্বাচন করেন, তাদের এ বিষয়গুলো অনুধাবন করে সহিংসতার পথ থেকে সরে এসে অহিংস পদ্ধতিতে সব ভোটারকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগদানে তাদের উদ্বুদ্ধ করা, তাদের অনুপ্রাণিত করা।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা উনি বলেছেন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু না হলে ভোটাধিকার প্রয়োগ হবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ভোটের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে মৌলিক মানবাধিকার অবশ্য বিঘ্নিত হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের যৌথভাবে কাজ উচিত বলে উনারা মনে করেন, আমরাও সহমত পোষণ করছি।

তিনি আরও বলেন, দলগুলোর মধ্যে উনিও বিশ্বাস করেন, পারস্পরিক আস্থাটা খুবই কম। দলের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা থাকা দরকার, তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাদের মধ্যেও ওটা নিচের দিকে যাবে। এতে প্রার্থী হিসেবে তাদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সংস্কৃতি গড়ে ওঠা উচিত। তা না হলে আমাদের রাজনীতিতে বা নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সহিংসতাটা কিছুটা থেকে যাবে।

সিইসি আরও বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকাটার কথাও তিনি বলেছেন। গণমাধ্যমের ভূমিকা বস্তুনিষ্ঠ হওয়া প্রয়োজন। অনেক সময় গণমাধ্যমে যে অংশটুকু তারা প্রয়োজন, ওই অংশটুকু কেটে নিয়ে আগে-পিছে বাদ দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। এটাও অনেক সময় করে। তাই গণমাধ্যমকেও আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে সার্বিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বা রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা প্রয়োজন বলে উনি মনে করেন। আমরাও সহমত পোষণ করেছি।

শাসক দলের প্রার্থীর আচরণ বিধি ভঙ্গ করছেন, আপনারা মানাতে পারছেন না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে সভা করেছি। তাদের কাছ থেকে খুব বেশি অভিযোগ পাইনি। প্রশাসনের ওপর তাদের আস্থা রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহিংসতা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পোস্টার ছেঁড়া এগুলো হয়েছে। কিন্তু মোটাদাগে খুব বেশি ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হয় না। তবে সহিংসতা একেবারেই হয়নি, সেটা বলছি না। আশা করি, গ্র্যাজুয়েলি এটা আর কয়েকটা দিন আছে, আমরা আমাদের আবেদন রাখছি, প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, তারা যেন এটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন। একটা সময় প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে।

সিইসি বলেন, ভোটের দিন পোলিং এজেন্টকে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। সেখানে অবাঞ্ছিত লোক যাতে প্রবেশ করতে না পারে এবং বাইরে থেকে ভেতর থেকে গণমাধ্যম যদি অনিয়ম প্রচার করতে পারে, আমরা এটাকে স্বাগত জানাবো। তাহলে নির্বাচনের ক্রেডিবিলিটি বেড়ে যাবে এবং রং পারসেপশন হওয়ার সুযোগ কম হবে। আমরা আশাবাদী।আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সংস্থাটির আট সদস্যের প্রতিনিধিদল, অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৮ ডিসেম্বর ২০২৩,/দুপুর ২:৪৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit