আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফল অনুমোদন না করার জন্য মিশিগানের দুই নির্বাচন কর্মীকে চাপ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের নির্বাচনে। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম দ্য ডেট্রয়েট নিউজ আউটলেট ট্রাম্পের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস করে খবরটি জানিয়েছে।
ওয়েইন কাউন্টি বোর্ড অব ক্যানভাসারের দুই রিপাবলিকান সদস্য মনিকা পালমার ও উইলিয়াম হার্টম্যানকে তিনি বলেছিলেন, আমাদের দেশের জন্য লড়াই করতে হবে’ এবং ‘এই লোকগুলো আমাদের দেশটা কেড়ে নিয়ে যাক তা হতে দিতে পারি না।‘ফোনকলটিতে আরও ছিলেন মিশিগানের বাসিন্দা ও রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির চেয়ার রোনা ম্যাকড্যানিয়েল। একপর্যায়ে তিনি রিপাবলিকান দুই কর্মীকে বলেন, আপনারা যদি আজ রাতে বাড়ি যেতে পারেন, তবে (অনুমোদনপত্রে) স্বাক্ষর করবেন না। আমরা আপনাদের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলব।’ ট্রাম্প এই কথায় সম্মতি দিয়ে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দেখব’।
২০২০ সালের ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর ফোনকলটি করা হয়েছিল। নির্বাচনে মিশিগান রাজ্যে জো বাইডেনের কাছে হেরেছিলেন ট্রাম্প। সেই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেনের কাছে পরাজিত হওয়ার পর ভোটের ফল উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আগামী বছরের মার্চে ওয়াশিংটনে ৭৭ বছর বয়সি ট্রাম্পের বিচার হবে।ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার হোয়াইট হাউসের নথি সরানোর মামলায় অভিযুক্ত
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে আরও এক পৃথক মামলায় অনেকটা একই ধরনের অভিযোগের মুখোমুখি ট্রাম্প। রেকর্ড করা এক ফোনকলে জর্জিয়ার সেক্রেটারি অব স্টেট ব্র্যাড রাফেনস্পারগারকে ১১ হাজার ৭৮০ ভোট খুঁজে বের করার জন্য ট্রাম্প চাপ দিচ্ছেন বলে শোনা গেছে। সেই ভোটগুলো খুঁজে পেলে অঙ্গরাজ্যটিতে বাইডেনের কাছে তার পরাজিত হওয়ার ফল পাল্টে দেওয়া যেত বলে চাপ দিচ্ছিলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বারবার দাবি করে আসছেন যে, ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেনের পক্ষে কারচুপি করা হয়েছিল। নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারণার মুখপাত্র স্টিভেন চেউং ইতোমধ্যে বলেছেন, কারচুপির অভিযোগের তদন্তসহ নির্বাচনের অখণ্ডতা নিশ্চিতে তার (স্টিভেন চেউং) দায়িত্বের অংশই হচ্ছে ট্রাম্পের বিভিন্ন পদক্ষেপ।
কিউএনবি/আয়শা/২২ ডিসেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৪:০৫