সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন

‘অচেনাদের’ সঙ্গে লড়াই আইনমন্ত্রীর তবুও ব্যাপক প্রস্তুতি মাঠে

বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ।    
  • Update Time : সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৬৮ Time View
বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে শেষ পর্যন্ত তিনজন প্রার্থী মাঠে রইলেন। তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনিসুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস। রবিবার জাতীয় পার্টির তারেক আহমেদ আদেল ও জাকের পার্টির জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। 

এর মধ্যে আনিসুল হক আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড ও দেড় হাজার বেকারকে চাকরি দিয়ে এলাকায় বেশ সুনাম কুঁড়িয়েছেন। অন্য দুই প্রার্থীর দল সম্পর্কেই অবগত নয় এলাকার মানুষ। এছাড়া তাদেরকেও খুব একটা চিনেন না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের বাসিন্দা ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস ওরফে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ব্রাহ্মণবড়িয়া-৫ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। স্থানীয়ভাবে তিনি ‘পীর’ হিসেবে পরিচিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা দরবার শরীফের পীর তিনি। তবে শাহীন খানের তেমন কোনো পরিচিতি নেই। 

এ অবস্থায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের জয় অনেকটাই নিশ্চিত। বিশেষ করে জাতীয় পার্টির তারেক আহমেদ আদেল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় জয়ের পথ বেশ সুগম হলো। তৃতীয়বারের মতো তিনি সংসদ নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বলে সর্বত্রই আলোচনা হচ্ছে। তবে বিজয় সহজ হলেও তাঁর পক্ষে ভোটের মাঠে লড়াই জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দুই উপজেলার প্রতিটিতেই নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন করা হচ্ছে। মূলত বেশি বেশি ভোটার আনার লক্ষ্যে কাজ করছে আওয়ামী লীগ।  

এদিকে সোমবার প্রতীক বরাদ্দের মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নামছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একাধিক মাজার জিয়ারতের পাশাপাশি তিনি লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে প্রচারণা ও নির্বাচনী জনসভায় অংশ নিবেন। আনিসুল হক একাধারে এলাকায় থাকবেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস রবিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘দলের পরিচিতিটা আমি প্রধান মনে করি না। আমার ব্যক্তিগত ইমেজে এগিয়ে যাবো। তিনটি আসনেই আমার অনেক ভক্ত, মুরিদ রয়েছে। কোনো আসনের প্রার্থীকেই আমি শক্ত প্রতিদ্বন্ধী মনে করি না। আমি ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাবো।’

কসবা উপজেলার দেলী গ্রামের বাসিন্দা শাহীন খান বলেন, ‘আমি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে নির্বাচন করেছি। ভোটের দিক থেকে তিন নম্বর হয়েছি। এলাকায় মাঝে মাঝে এলেও খবর রেখেছি সব সময়। প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আমি প্রচারণায় নামবো। একজন শক্ত প্রতিদ্বন্ধী থাকলেও আশা করছি আমার কোনো সমস্যা হবে না।’ এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য দীপক কুমার ঘোষ বলেন, ‘আনিসুল হক নিসন্দেহে একজন সজ্জন মানুষ। প্রার্থী যেই হোক না কেন আনিসুল হকের বিজয় সব সময়ই নিশ্চিত।

এখন শক্ত প্রতিদ্বন্ধী না থাকলেও আমাদের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি নেই। উপজেলা থেকে শুরু করে প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের পরই আমরা নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়বো।’ 

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৮ ডিসেম্বর ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:১২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit