স্পোর্টস ডেস্ক : একে তো টেস্টে ফর্মে ছিলেন না ডেভিড ওয়ার্নার, তার ওপর বল টেম্পারিং কাণ্ডের সঙ্গে ছিলেন জড়িত। এমন একজন ক্রিকেটকে কেন মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে, প্রশ্ন তুলেছিলেন মিচেল জনসন। করেছিলেন কড়া সমালোচনা। তার সেই সমালোচনার জবাব দারুণ এক সেঞ্চুরিতে দিলেও সাবেক সতীর্থকে নিয়ে এখনো ভাবনায় কোনো পরিবর্তন আসেনি অস্ট্রেলিয়ান এই পেসারের।
টেস্টে ফর্মে না থাকলেও সাদা বলের ক্রিকেটে ভালোই রান করছিলেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়া ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়েও রেখেছিলেন বড় অবদান। টেস্টেও তার ওপর তাই ভরসা রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তান সিরিজের প্রথম টেস্টের দলে তাকে রাখার পরই ওয়ার্নারকে নিয়ে সমালোচনা করেন জনসন। সঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দিকেও আঙুল তোলেন তিনি। সব সমালোচনার জবাব ২২ গজে দেন ওয়ার্নার। পার্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে খেলেন ১৬৪ রানের ইনিংস। দ্বিতীয়ভাবে যদিও আউট হয়েছেন শূন্য রানে। তবে তার ওই সেঞ্চুরি তাকে সিডনি টেস্ট পর্যন্ত সুযোগ করে দেবে, ধরেই নেওয়া যায়।
জনসন মনে করছেন, ওয়ার্নারের এমন ইনিংস খেলার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে তাকে নিয়ে সমালোচনা। ইংলিশ সাবেক ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেনের সঙ্গে এই জায়গায় ওয়ার্নারের মিল খুঁজে পান জনসন। অস্ট্রেলিয়ান সাবেক পেসারের ভাষায়, ‘ফর্ম নিয়ে সমালোচনাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা হয়তো অস্বীকার করেছে ওয়ার্নার, তবে নিশ্চিতভাবেই এটি প্রথম ইনিংসে তাকে ওই রকম পারফরম্যান্স করতে উজ্জীবিত করেছে। এই ধরনের পরিবেশ ওয়ার্নার উপভোগ করেছে এবং এই জায়গায় সে কিছুটা কেভিন পিটারসেনের মতো ছিল। মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে কেউ যখন তাকে নিয়ে কিছু বলত, সে এটা পছন্দ করত। এই ধরনের চ্যালেঞ্জ উপভোগ করত এবং উঠে পড়ে লাগত নিজেকে প্রমাণের জন্য। আমার মনে হয় ডেভও কিছুটা সেরকম।’
সেঞ্চুরি করলেও ওয়ার্নারকে নিয়ে আগের অবস্থানেই জনসন। তার মতে, ভবিষ্যৎ ভাবনায় নতুনদের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল অস্ট্রেলিয়ার, ‘এই গ্রীষ্মে তারা নতুন ছেলেদের সুযোগ দিতে পারত এবং তাদেরকে সমর্থন করতে পারত। আগামী দুই গ্রীষ্মে ভারত ও ইংল্যান্ড যখন পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে আসবে, তখন কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে অস্ট্রেলিয়া।’
কিউএনবি/আয়শা/১৭ ডিসেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৩:০০