ডেস্ক নিউজ : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ জরুরি। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় আমরা বিদেশি বিনিয়োগ পাচ্ছি না। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যসব উন্নয়ন সহযোগীরা আমাদের সহায়তা করতে পারে।
রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসিফরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মনছুরুল আলম। এক্সপোর্ট রেডিনেস ফান্ড (ইআরএফ) বা রপ্তানি প্রস্তুতি তহবিলের আওতায় সম্ভাবনাময় চার রপ্তানি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, প্লাস্টিক এবং হালকা প্রকৌশল শিল্পের ৫৭০ উদ্যোক্তাকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
মূলত উদ্যোক্তাদের বৈশ্বিক মানসম্পন্ন পণ্য তৈরি এবং আন্তর্জাতিক সরবরাহ কাঠামোতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সহায়তা দেওয়া হয়। রপ্তানি প্রস্তুতি তহবিলের আওতায় ৩৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের অনুদান সহায়তা ছিল ১৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের, বাকি প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার উদ্যোক্তারা নিজেরা ব্যয় করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফরজে) প্রকল্পের আওতায় ইআরএফ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এবং বিশ্বব্যাংকের লিড কান্ট্রি ইকোনমিস্ট এবং প্রোগ্রাম লিডার সোলায়মান কলিবেলি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইআরএফ টিম লিডার ডেভ রুঙ্গানাইকালু। বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট হোসনা ফেরদৌস সুমি, ইআরএফ কর্মসূচির পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইয়াং কনসালটেন্টসের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন প্রমুখ।
রপ্তানি সম্প্রসারণে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, প্লাস্টিক এবং হালকা প্রকৌশল শিল্পের উদ্যোক্তাদের কমপ্লায়েন্ট হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এক্সপোর্ট রেডিনেস ফান্ড (ইআরএফ) গঠিত হয়। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ইআরএফ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। সোমাবার এর বাস্তবায়ন কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এ কর্মসূচির আওতায় চার রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তাদের ম্যাচিং গ্র্যান্ট দেওয়া হয়।
কিউএনবি/আয়শা/১১ ডিসেম্বর ২০২৩,/রাত ১০:৫০