রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২০ অপরাহ্ন

জুমাবার সুরা কাহাফ পাঠের ফজিলত

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৩২ Time View

ডেস্ক নিউজ : হাদিসের বর্ণনা অনুসারে সুরা কাহফ তিলাওয়াতের অন্যতম ফজিলত হলো, এ সুরা পাঠ করলে মহান আল্লাহর বিশেষ রহমত অবতীর্ণ হয়। বারা বিন আজিব রা. বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি (নামাজে) সুরা কাহফ তিলাওয়াত করছিল। 

তখন বাড়ির একটি চতুষ্পদ জন্তু লাফাতে শুরু করে। সে সালাম বলল। তখন কুয়াশা বা একখণ্ড মেঘ তাকে আবৃত রাখে। বারা বিন আজিব রা. বর্ণনা করেছেন, সে বিষয়টি রসুল সা.-এর কাছে বর্ণনা করেন। তিনি তাকে বলেন, ‘হে অমুক, তুমি সুরাটি তিলাওয়াত করো। কারণ এটি আল্লাহর রহমত বা প্রশান্তি, যা কোরআন তিলাওয়াতের কারণে অবতীর্ণ হয়েছিল। (বুখারি ৩৬১৪, মুসলিম ৭৯৫)

সুরা কাহাফ এর ফজিলত

জুমাবারে সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করার অনেক অনেক ফজিলত রয়েছে। কিয়ামতের দিন এই সুরা তার পাঠকারীকে আলোকিত করবে। ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পড়বে, তার পায়ের নীচ থেকে আসমান পর্যন্ত নুর প্রজ্বলিত হবে এবং কিয়ামতের দিন তার জন্য উজ্জ্বল হবে। আর দুই জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির ৬/৩৯৮)

প্রতি জুমায় এই সুরা তিলাওয়াত করলে এক জুমা থেকে অন্য জুমার মধ্যবর্তী সময়ের জন্য নুর প্রজ্বলিত করে রাখা হয়। আবু সাইদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত, রসুল সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ তিলাওয়াত করবে, তার জন্য দুই জুমা পর্যন্ত নুর প্রজ্বলিত হবে।’ (সুনানে দারিমি ৩৪০৭)

সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত এর ফজিলত

এছাড়া কেউ পুরো সুরা মুখস্থ বা পাঠ করতে না পারলে সে সুরার প্রথম ১০ আয়াত পাঠ করতে পারে। সম্ভব হলে পুরো সুরাই পাঠ করবে ও মুখস্থ করবে। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহফের শেষ ১০ আয়াত পড়বে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (মুসনাদে আহমদ, ৪৪৬/৬)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহফের ১০ আয়াত পড়বে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (তিরমিজি ২৮৮৬)হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, রসুল সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (মুসলিম ৮০৯, আবু দাউদ ৪৩২৩)

সুরা কাহাফে বর্ণিত ঘটনা 

সুরা কাহফে বর্ণিত তিনটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আসহাবে কাহাফ বা গুহার অধিবাসী সাত যুবকের ঘটনা। যারা ঈমান রক্ষার জন্য নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে দূরবর্তী কোনো পাহাড়ের গুহায় গিয়ে আত্মগোপন করে। সেখানে ৩০৯ বছর ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। তাদের ঘটনা এ সুরায় বর্ণিত হয়েছে।

হযরত মুসা আ. ও খিজির আ.-এর বিখ্যাত ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। দুনিয়ার ক্ষমতাবান বাদশাহ জুলকারনাইনের ঘটনাও এ সুরায় বর্ণিত হয়েছে। বাদশাহ জুলকারনাইন সারাবিশ্ব শাসন করেছেন। পুরো পৃথিবী ভ্রমণ করেছিলেন। 

 

 

কিউএনবি/আয়শা/ ০১ ডিসেম্বর ২০২৩,/সকাল ১১:০৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit