স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৫ মনিরামপুর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে হচ্ছেন? এ নিয়ে এখন নেতা কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। যদিও এ আসন থেকে ২০১৪ সালে স্বপন ভট্টাচার্য্য নৌকা প্রতিকের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন স্বপন ভট্টাচার্য্য।
সরকার গঠনের পর পরই তিনি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। সেই থেকে তিনি এখনও প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। ফলে আওয়ামী লীগের জন্য এ আসনটি গুরুত্বপূর্ন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তবে বিভিন্ন কারনে দলের ভেতর বিদ্যমান রয়েছে প্রচন্ড বিভেদ।এবার সেই আসনে আওয়ামী লীগের স্বপন ভট্টাচার্য্যসহ ১৩ জন দলিয় মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন।সবাই যার যার অবস্থান থেকে যুক্তিতর্ক দিয়ে নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দাড় করানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখে চলেছেন।
দলিয় সূত্রে জানাযায়, ইতিমধ্যে দলিয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। এ ছাড়াও সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য এস এম ইয়াকুব আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, কেন্দ্রীয় নেতা কামরুল হাসান বারী, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত খান টিপু সুলতানের ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হুমায়ুন সুলতান সাদাব, জয়দেব কুমার নন্দী,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য, ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক সুশান্তÍ কুমার মন্ডল ও নিতাই কুমার বৈরাগী।
তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, সব দিক বিবেচনা করে দল শেষ পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যেেক মনোনয়ন দিতে পারে। অন্যদিকে সাধারন সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন বলেন, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে কারনে দলে প্রচন্ড বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দলিয় স্বার্থে আমাকেই মনোনয়ন দিবে।
আবার কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য এস এম ইয়াকুব আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় থেকে নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারন মানুষের সুখে দু:খে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। সব মিলিয়ে দল আমাকেই মনোনয়ন দিবে। আবার নাজমা খানম বলেন, একমাত্রও নারী হিসেবে দল আমাকেই মনোনয়ন দিবে। অন্যদিকে কামরুল হাসান বারী বলেন, মনিরামপুরে দলের ভেতর যেভাবে গ্রুপিং রয়েছে তা ভেদ করে আমাকেই মনোনয়ন দিবে। তবে সাধারন কর্মী সমর্থকরা বলছেন দল যাকেই নৌকা প্রতিক দিয়ে পাঠাবে তার পক্ষেই তারা কাজ করবে।
কিউএনবি/আয়শা/২১ নভেম্বর ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:৫৫