স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। মাত্র ৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে পাকিস্তানের হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ ৩১টি সেঞ্চুরির সাহায্যে পঞ্চম সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৯৮৬ রান করেছেন বাবর।
পাকিস্তানের হয়ে ১৬ বছর ক্রিকেট খেলে রেকর্ড ২০ হাজার ৫৪১ রান করেন ইনজামাম-উল-হক। আর কয়েক বছর ক্রিকেট খেললেই কিংবদন্তি ইনজামামকে ছাড়িয়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবেন বাবর আজম। ধারাবাহিক পারফর্ম করার কারণে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বাবর আজমকে ভারতীয় কিংবদন্তি বিরাট কোহলির সঙ্গে তুলনা করছেন।
বিশ্বকাপের চলতি আসরে সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নেয় পাকিস্তান। যে কারণে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দলকে নিয়ে ঘরে-বাইরে কঠোর সমালোচনা হচ্ছে। সেই সমালোচনার কারণে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান জাকা আশরাফের সঙ্গে দেখা করে গত বৃহস্পতিবার অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন বাবর আজম। বাবর অধিনায়কত্ব না ছাড়লেও তাকে বরখাস্ত করা হতো বলেই দাবি পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোর। তাই নিজেই সব সংস্করণের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
বাবরের সঙ্গে এমন আচরণ সঠিক মনে হয়নি পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদের। তিনি বলেন, ‘বাবরকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো ঠিক হয়নি। খেলোয়াড়দের যথেষ্ট সম্মান দিতে হবে। একজন ভালো ম্যানেজার রাখা যেত, যার কাজ হতো বাবরকে শক্তিশালী অধিনায়ক হিসেবে গড়ে তোলা। পিসিবি বাবরের সঙ্গে যে আচরণ করেছে, তা দুঃখজনক।’
বিশ্বকাপে বাবর ৯ ম্যাচে মাত্র ৩২০ রান করেছেন। বাবরের ব্যাটিংয়ে কিছু সমস্যা খুঁজে পেয়েছেন মিয়াঁদাদ। তিনি বলেন, ‘বাবর বোলারের ওপর চড়াও হয় না, যেটা ব্যাটিংয়ের ছন্দে প্রভাব ফেলে। ওর প্রতিভা অনেক, তবে কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে; বিশেষ করে ব্যাটিংয়ের সময়ে শরীরের অবস্থানে। কেউই নিখুঁত নয়। বাবরের সামর্থ্য আছে, তবে ওর ভুলগুলো নেটে ধরিয়ে দেওয়ার মতো কেউ নেই। ও একই ভুল তাই বারবার করছে। নেটে ভুল শোধরানো থেকেই আত্মবিশ্বাস আসে।’
মিয়াঁদাদ আরও বলেন, ‘বাবর পরামর্শ চাইলে আমি দিতে প্রস্তুত। এই দেশ আমাকে সব দিয়েছে। যেকোনো খেলোয়াড়কে সঠিক পথ দেখাতে আমি প্রস্তুত। তবে কেউ যদি না আসে, আমি কী করতে পারি?’