লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : আমাদের শরীরের মধ্যে খুবই স্পর্শকাতর অঙ্গগুলোর মধ্যে ঠোঁট অন্যতম। ঠোঁটের একটা বিশেষত্ব হালো ঠোঁটের রং লাল হয়। বিশেষ করে ত্বকের উজ্জ্বল্য বৃদ্ধির সঙ্গে ঠোঁটের রংও হাল্কা হতে থাকে। অর্থাৎ যাদের গায়ের রং খুব ফর্সা, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের ঠোঁটের রং গাঢ় লাল। যাদের রং একটু চাপা, তাদের ঠোঁটের রং কালচে লাল।
এবার আসা যাক ঠোঁটের রঙের প্রসঙ্গে। দেহের অন্যান্য অঙ্গের থেকে ঠোঁটের রং একটু বেশিই লাল হয়। তার কারণ কী? এর পেছনে রয়েছে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা। ঠোঁটের চামড়া খুবই পাতলা। এই নরম পাতলা চামড়ার নীচে রয়েছে অসংখ্য সরু ব্লাড ভেসেল বা রক্তনালী। ঠোঁটে কম পরিমাণ মেলানোসাইটিস থাকে। মেলানোসাইটিস কোষে তৈরি হয় মেলানিন যা আমাদের ত্বকের রং নির্ধারণ করে। কম মেলানোসাইটিস থাকার ফলে এবং চামড়া পাতলা হওয়ার ফলে বেশি সংখ্যক রক্তনালী থাকার ফলে ঠোঁটের রং লাল হয়।
যুক্তরাজ্যের লফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউমান বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক নোয়েল ক্যামেরন লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, ‘ঠোঁট খাওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং কথা বলার জন্য মৌলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’ ঠোঁটের রং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঠোঁটে কোষের তিন থেকে পাঁচটি স্তর রয়েছে। সাধারণত মুখের ত্বকের তুলনায় খুবই পাতলা হয় টোঁটের ত্বক। এ ছাড়াও ঠোঁটের ত্বকে কম মেলানোসাইট থাকে (ত্বকের রং তৈরি করে)। এসব কারণে ঠোঁটের ত্বকের মাধ্যমে রক্তনালিগুলো দেখা যায়। এই জন্যে ঠোঁটের রং লাল হয়ে থাকে। সূত্র: লাইভ সায়েন্স
কিউএনবি/আয়শা/১৪ নভেম্বর ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:৪৪