আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর অব্যাহত ও নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেছেন, গাজায় অপরাধের দায় সম্পূর্ণ ইসরাইলের। এই মুহূর্তে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোকে একত্রিত হতে হবে। আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের জীবন বাঁচাতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার এখনই সময়।
শনিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওআইসি ও আরব বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ‘অপরাধের’ দায় ইসরাইলের উল্লেখ করে এর নিন্দা জানানো হয়েছে। খবর আবর নিউজের।
গাজায় ইসরাইলের ‘চলমান হামলা ও নজিরবিহীন গণহত্যার’ প্রতিক্রিয়ায় সৌদি সরকার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অংশগ্রহণে শনিবার সৌদি আরবের ডি-ফ্যাক্টো নেতা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ওই যৌথ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সম্মেলনে আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতারা অংশ নিয়েছেন। এতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদসহ কয়েক ডজন মুসলিম নেতা অংশ নিয়েছেন।
মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, বেদনাদায়ক ও অকল্পনীয় পরিস্থিতিতে এই সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনেরা যে নৃশংস ও ভয়াবহতার শিকার হচ্ছেন আমরা তা অবগত আছি। আমরা অবিলম্বে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি পুনর্ব্যক্ত করছি।
ক্রাউন প্রিন্স তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের সামনে একটি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় রয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে ইসরাইলের হামলা বিশ্বের কাছে স্পষ্ট। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতারই সাক্ষ্য দেয়।
তিনি জানান, ইসরাইলি বিমান হামলায় হাজার হাজার শিশু নিহতের মতো ঘৃণ্য ও অমানবিক ঘটনা ঘটেছে। গাজাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তারা হাসপাতালে হামলা করছে, আমাদের ধর্মীয় উপাসনালয় ধ্বংস করেছে।
অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরাইলি বাহিনীর ওপর চাপ দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক করিডোর খোলার দাবি জানিয়ে বিন সালমান বলেন, এই মুহূর্তে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোকে একত্রিত হতে হবে। আমাদের ভাইদের জীবন বাঁচাতে সম্মিলিত চেষ্টার এখনই সময়।
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, গাজায় ‘স্থায়ী শান্তি ও সমাধানের’ একমাত্র উপায় ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরাইলি দখলের অবসান ঘটানো এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
কিউএনবি/আয়শা/১২ নভেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৫:৫০