ডেস্কনিউজ : বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। এ সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের (ওমান) কাছ থেকে প্রতিশ্রতি পেয়েছি, খুব শিগগিরই তাদের দেশ আমাদের জন্য ভিসা স্থগিতাদেশ তুলে নেবেন। কিন্তু খুলে দেয়ার আগ পর্যন্ত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ভিসা পেয়েছেন, তারা যেতে পারবেন এতে কোনো অসুবিধা নেই।
ভবিষ্যতে যারা যাবেন, তাদের জন্য আমাদের বার্তাটি থাকবে-অবশ্যই কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে চাকরি নিশ্চিত করে আপনারা সেখানে যাবেন জানান শাহরিয়ার আলম। ওমান যে বাংলাদেশের ভিসা স্থগিত করেছে এটি অস্থায়ী-এর আগে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে করা হয়েছিল, মাস দুয়েক পরে তা ঠিক করে নেয়া হয়েছে-যোগ করেন তিনি।
শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, যারা শ্রমবাজার নিয়ে কাজ করছেন তাদের প্রতি অনুরোধ কোনো বাজারেই কিন্তু সীমাহীন চাহিদা থাকে না। আর সম্প্রতি দেখা গেছে, যে চুক্তি, যে কাগজপত্র বা যে প্রত্যাশা নিয়ে তারা গেছেন, সেটা তাদের জন্য পরিপূর্ণ হয়নি। তার মানে, এখানে কিছু ব্যত্যয় হয়েছে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের সীমিত সম্পদ অপব্যবহার করে মধ্যস্বত্বভোগীরা বাংলাদেশকে এমন একটি পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, যাতে আমাদের দুর্নাম হয়ে যেতে পারে। যেটা আমরা কখনোই চাই না। জমি বিক্রি করে কিংবা ঋণ নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয় মধ্যস্বত্বভোগীরা। সেটা আমরা চাই না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনার সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু অপপ্রচার হচ্ছে। যখনই কোন বিদেশ সফর হয়, তখন শ্রমবাজার অগ্রাধিকার পায়। সকল অংশীজনদের সাথে কথা হয়। অবৈধভাবে কেউ যাতে অভিবাসী না হয় সেই অনুরোধ জানানো হলো। সব কিছু খুইয়ে বিদেশ গিয়ে নিঃস্ব হবার কোনো দরকার নেই।
সৌদি আরবে অনেকেই কাজ পাচ্ছেন না-এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যখনই আমরা যাই, যে কোনো বিষয়ে সেখানে শ্রমবাজারকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। কিন্তু এই শ্রমবাজারের কার্যপ্রণালী এতেই জটিল যে, সব অংশীজনদের সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। আমাদের আবারও বলতে হবে, ওমান সরকার যদি জানান, কারা কারা এতে জড়িত, চাকরি নিশ্চিত না করে চাকরির নাম করে নিয়ে গেছেন, তাদের বিস্তারিত পেলে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এ সময়ে অবৈধভাবে বিদেশ না যেতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, গেলে কিন্তু অসুবিধা আছে। আমরা চাই, বৈধ ও নিয়মিত অভিবাসন চাই। অবৈধভাবে লোকজন গিয়ে বিদেশে কষ্টে থাকে। তখন সেটা সংবাদ মাধ্যমে আলোচনার বিষয় হয়। আল্লাহর ওয়াস্তে, এভাবে বিদেশ যাবেন না। বিদেশ গেলেই যে বেহেস্ত পেয়ে যাবেন, এমন না।
কিউএনবি/আয়শা/০২ নভেম্বর ২০২৩,/রাত ৮:২৮