ডেস্ক নিউজ : ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে বঙ্গোপসাগর সামান্য উত্তাল হয়ে উঠেছে। এদিকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেতের মাধ্যও আনন্দ-উল্লাসে মেতেছেন সমুদ্র সৈকতে আগত পর্যটক দর্শনার্থীরা। আর পর্যটকদের দ্রুত বঙ্গোপসাগরে থেকে তীরে উঠতে মাইকিং করছে ট্যরিস্ট পুলিশ।
লক্ষ্মীপুর থেকে আগত পর্যটক রেহেনা আফরোজ মুক্তা বলেন, সাগর সব সময় ভালো লাগে। কুয়াকাটা আসার পর জানতে পারলাম যে পায়রা বন্দরে সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ভয়ে সকাল থেকে রুম থেকে বের হইনি। বর্তমানে সমুদ্র সৈকতে কোন কিছু নেই; এসে মন ভালো হয়ে গেছে। এখন কোন প্রভাব নেই। এতো সুন্দর সমুদ্র বলে বোঝানো যাবে না।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা সোহেল বলেন, ঢাকা থেকে বন্ধুদের নিয়ে ২২ তারিখ এসেছি। আজ চলে যাবো। হঠাৎ টিভিতে দেখলাম ঘূর্ণিঝড় হামুন আসবে তাই থেকে গেলাম। সমুদ্রের আসল সৌন্দর্য এখন দেখা যাচ্ছে।
মাদারীপুর এলাকার বাসিন্দা সোনীয়া বলেন, পরিবারের সঙ্গে কুয়াকাটা ভ্রমণে এসেছেন তিনি। ঘূর্ণিঝড়ের সময় সাগরের আসল সৌন্দর্য প্রকাশ পায় তাই সকলে এখনও অবস্থান করছে। কেউ প্রশাসনের কথা মানছে না।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডাবলু বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। পায়রা ও চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাই কুয়াকাটা ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছাকাছি থেকে সমুদ্র স্নান করার জন্য ও উঠে আসার জন্য মাইকিং অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক মো. নুর কুতুবুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। হামুন মোকাবেলায় ৭০৩ টি সাইক্লোন সেল্টার, ৩৫টি মুজিব কিল্লা, ৮৭৬০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক, ৯ লাখ ৯০ হাজার নগদ টাকা ও ৬০০ মেট্রিকটন জি আর চাল মজুদ রাখা হয়েছে।
কিউএনবি/অনিমা/২৪ অক্টোবর ২০২৩,/বিকাল ৩:৫০