স্পোর্টস ডেস্ক : ‘নোংরা রাজনীতি’তে না জড়াতে বিশ্বকাপ দল থেকে সরে এসেছিলেন তামিম। ধারণা করা হয়, সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণেই বিশ্বকাপে যেতে চাননি তিনি। ব্যাটিং পজিশন নিয়ে ঝামেলার বিষয়টি তো ছিলই। তবে বিশ্বকাপে না গেলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের কোনো ঘোষণা দেননি তামিম।
ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে লড়ছে বাংলাদেশ দল। একই সময়ে দেশের মাটিতে চলছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে সেই তালিকায় নেই তামিম। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দিলেন তামিম।
চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের এনসিএলে খেলার কোনো বাধ্যবাধকতা আছে কিনা এই প্রসঙ্গে ক্রিকেট অপারেশনস বিভাগের কর্মকর্তা শাহরিয়ার নাফীস এক গণমাধ্যমকে জানান, ‘এ ব্যাপারে বাধ্যবাধ্যকতা আছে, আবার নেইও। খেলোয়াড়দের অ্যাভেইলেবল থাকলে খেলতে হবে, তবে খেলতেই হবে বা না খেললে শাস্তি হবে এমন কিছু নেই। যেমন তাসকিনকে যদি আমরা বিশ্বকাপ থেকে আসার পর এনসিএলের শেষ রাউন্ডটা খেলতে বলি তাহলে সে খেলতে বাধ্য, তবে মেডিকেল কন্ডিশন এবং ওয়ার্কলোড সবকিছু বিবেচনায় আমরা হয়তো তাকে খেলতে বলব না। ব্যাপারটা এরকম, তবে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার অ্যাভেইলেবল থাকলে তার খেলার কথা।’
অবসরের প্রসঙ্গ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। এই মুহূর্তে দুবাইয়ে পরবিারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। সেখান থেকে দেশের একটি দৈনিক পত্রিকাকে তামিম জানিয়েছেন, অবসর কিংবা ক্রিকেট ক্যারিয়ার, কোনোকিছু নিয়েই এই মুহূর্তে ভাবছেন না তিনি। জাতীয় লিগে নিজের না খেলার প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘আমি বিশ্বকাপ দলে নেই কেন? ফিটনেস ইস্যুতে না? তাহলে আমাকে জাতীয় লিগে খেলাবে কেন?’ জাতীয় দলের জার্সিতে আবারও তামিমকে দেখা যাবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন, ‘আমি কোথাও অবসর নিয়ে বলিনি। আর সত্যি বলতে এই মূহূর্তে আমি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে কিছুই ভাবছি না। খেলব কী খেলব না, সেটা নিয়ে পরে ভাবা যাবে। এখন পরিবার নিয়ে সময় কাটাচ্ছি, ভাল আছি।’
কিউএনবি/আয়শা/২৩ অক্টোবর ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:০০