বিনোদন ডেস্ক : তিরুপতি বালাজি ট্রাস্টে ১০ লাখ রুপি দান করার মধ্য দিয়ে ভারতরত্ন পুরস্কারজয়ী প্রয়াত লতা মঙ্গেশকরের শেষ ইচ্ছে পূরণ করলেন আত্মীয়রা। তিরুপতির ভক্ত হওয়ায় মারা যাওয়ার আগে মন্দিরের নামে দশ লাখ রুপি উইল করে যান সুরসম্রাজ্ঞী। কিংবদন্তির পরিবারের পক্ষ থেকে এক চিঠির মাধ্যমে তিরুপতি ট্রাস্টকে জানানো হয় যে, লতা মঙ্গেশকরের ‘শেষ ইচ্ছে’ ছিল তার মৃত্যুর পরে টিটিডি-কে ১০ লাখ রুপি দান করার। আর সে ইচ্ছে অনুযায়ী, তিরুপতি ট্রাস্টে অনুদানটি দিতে চান তারা।
লতা মঙ্গেশকরের বোন ঊষা মঙ্গেশকর টিটিডি-এর মুম্বাই প্রতিনিধি মিলিন্দ কেশব নার্ভেকরকে খুব শীঘ্রই অনুদান হস্তান্তরের জন্য অনুরোধ করেছেন। পরিবারের অনুরোধের পর, টিটিডি বোর্ডের সদস্য মিলিন্দ টিটিডি ইও-র কাছে অনুদানের চেক পৌঁছে দেন। গেল বছরের ৬ ফেব্রুয়ারী অমৃতলোকের উদ্দেশে যাত্রা করেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর।
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এক মধ্যবিত্ত মারাঠা পরিবারে জন্ম হয় লতা মঙ্গেশকরের। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে গান শেখা শুরু করেন। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের কাছেই নিয়েছিলেন সংগীতের প্রথম তালিম। এরপর ১৯৪২ সালে পেশাগতভাবে বেছে নেন গানকে। ৩৬টি ভাষায় ৫০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন এই সুরসুম্রাজ্ঞী।
প্রথম প্লেব্যাক করেন ‘লাভ ইজ ব্লাইন্ড’-এ। কিন্তু সেটা আর মুক্তি পায়নি। প্রথমবার স্টেজে পারফর্ম করে তিনি ২৫ টাকা সম্মানী পেয়েছিলেন। সেই তিনি মৃত্যুর সময় ছিলেন প্রায় ৩৭০ কোটির মালিক। গানের রয়্যালিটি থেকে মাসে প্রায় ৪০ লক্ষ রুপি আয় করতেন লতা। বছরে পেতেন প্রায় ৬ কোটি রুপি।
কিউএনবি/আয়শা/১১ অক্টোবর ২০২৩,/দুপুর ১২:৪০