আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধ। দুই পক্ষ মিলে ইতোমধ্যে নিহতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় প্রায় দেড় লাখ লোক উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে।
জিও নিউজ জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা স্ট্রিপের (উপত্যকা) বিরুদ্ধে ইসরাইলের স্থল আক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। কারণ ইসরাইল ‘সম্পূর্ণ অবরোধে’র পদক্ষেপ বাড়িয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ গাজায় বিদ্যুৎ, খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, হামাসের হামলায় বেসামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ কমপক্ষে এক হাজার ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় গাজায় সাত শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় চার হাজার আহত হয়েছে।
এদিকে আল-জাজিরা জানিয়েছে, হামাসের কাসাম ব্রিগেড বলেছে যে, তারা ইসরাইলি বেসামরিক জিম্মিদের তারা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা শুরু করবে যদি ইসরাইল কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই বেসামরিক আবাসিক এলাকায় আরেকটি বোমা ফেলে।
হামাসের কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেদা আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘সতর্কতা ছাড়াই নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার প্রতিবাদে আমাদের হেফাজতে থাকা বন্দিদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা করা হবে। এমনকি আমরা সেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা সরাসরি প্রচার করতে বাধ্য হব।
‘আমরা এই সিদ্ধান্তের জন্য দুঃখিত; কিন্তু আমরা এর জন্য ইহুদিবাদী শত্রু (ইসরাইল) এবং তাদের নেতৃত্বকে দায়ী করব,’ বলেন আবু ওবেদা।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সেনা সমাবেশের পর শিগগিরই আক্রমণে যাবে।
কিউএনবি/অনিমা/১০ অক্টোবর ২০২৩,/দুপুর ১:৪৪