তিনি আরও বলেন, দিল্লি আছে আমেরিকারও দিল্লিকে দরকার। আমরা আছি দিল্লিও আছে। শত্রুতা কারও সাথে নাই। সবার সাথে বন্ধুত্ব। শেখ হাসিনা এমন ভারসাম্য সবার সাথে করে ফেলেছে। আর কোন চিন্তা নাই। কোথায় স্যাংসান, কোথায় ভিসানীতি, আপোষ হয়ে গেছে। অক্টোবরে সোজা হয়ে দাঁড়ান কৌশল ভাল করে শিখে নেন। করতে হবে যুদ্ধ। বিএনপির লোকেরা এখন পথ হারিয়ে দিশেহারা। দুই সেলফিতেই বাজিমাত। এক সেলফি দিল্লিতে আরেক সেলফি নিউইয়র্ক। প্রথমে দিল্লিতে গিয়ে পরে নিউইয়র্কে বাজিমাত।
সেতু মন্ত্রী বলেন, খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে, খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, খেলা হবে লুটপাটের বিরুদ্ধে, খেলা হবে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে, খেলা হবে চোরদের বিরুদ্ধে। সব চোর একত্রিত হয়েছে ক্ষমতার জন্যে। ক্ষমতায় বসে দেশ ধ্বংস করবে। ও দিন শেষ। ডিসেম্বরে বলছিল না খালেদা জিয়া দেশ চালাবে, মনে আছে? নয় মাস চলে গেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছে। ৪ টা ৫ টা বছর আদালতে হাজিরা পর্যন্ত দেয়নি। এতদিন খালেদা জিয়ার মমলার ফয়সালা হয়ে যেতো। কিন্তু এ মামলা ফয়সালা হয়নি বিএনপির জন্য। বিএনপির মামলা রয়ে গেছে। আদলতে ঝুলে আছে। খালেদা জিয়াকে দেখিয়ে যদি কিছু করা যায়। অক্টোবরে নাকি পতন, কোন অক্টোবর, এই অক্টোবর নাকি আগামী অক্টোবর। নাকি তার পরের বছরের অক্টোবর। অক্টোবরে নভেম্বরে, ডিসেম্বরে কিছুই হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অক্টোবর থেকে শুরু, মার্চ থেকে শুরু, খেলা হবে আগামী মানে সেমিফাইনাল। জানুয়ারিতে ফাইনাল। বিএনপি এখন ফাউল করছে। ফাউল করলে হলুদ কার্ড। ফাউল হলে লাল কার্ড। খেলা নিয়ে ফাউল করা চলবে না। খালেদা জিয়া ছাড়া বিএনপি ইলেকশন করবে না। এতোদিন কই ছিল, খালেদা জিয়া বছরের পর বছর জেলে। তার জন্য একটা আন্দোলন হোক, করতে পারলো না ফকরুল। আর এখন খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করবে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নাকি নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে, কেমন নিষ্ঠিরতা, ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে তারা হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা সেদিন বিদেশে ছিলেন বলে বেঁচে গিয়েছিলেন। সেদিন নিষ্ঠুরতা কোথায় ছিল। এই হত্যাকান্ডের নায়ক জেনারেল জিয়াউর রহমান। নিষ্ঠুর কারা? জাতির পিতাকে হত্যা করেছে জেল খানায় চার নেতাকে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। কে করেছে এগুলো, হাওয়া ভবন কে করেছে, তারেক জিয়া শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বেগম জিয়াকে একবারও কি কেউ হত্যা করতে গিয়েছিল। তারেক জিয়ার জীবনের ওপর একবারও কি হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ কি করবে না, আওয়ামী লীগ হত্যা সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বান করে না। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের শিকার। এখনও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আপনারা বলেন যে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য যার রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। মানুষ যাতে ভাল থাকে। জিনিসপত্রের দামে যে ঊর্ধগতি, দাম যাতে কমে সে জন্যে শেখ হাসিনা অবিরাম কাজ করছেন।
মন্ত্রী বলেন, অক্টোবর মাস তো চলে যাচ্ছে। আর কত হুমকি, ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম বুড়িগঙ্গায় ভেসে গেছে। গত ডিসেম্বরের আন্দোলন গরুর হাটের খাদে পড়েছে। আর আন্দোলন আছে? কোথায় যাবেন, এখন এ জায়গায় ওই জেলায় ওই নগরীতে আজকে দিশেহারা পথিকেরা আন্দোলনের নামে ঘুরে বেড়ায়। এতে কোন কাজ হবে না। নির্বচান ছাড়া বাংলাদেশের জনগণ আর কিছুই চায় না। এই দেশে আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট সমীক্ষায় মন্তব্য করেছে। এই মূহুর্তে ভোট হলে বাংলাদেশের শতকরা ৭০জন লোক শেখ হাসিনাকে ভোট দিবে।
এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, বংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাসিম ও সাংগাঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।