শার্শা(যশোর)সংবাদদাতা : ২৬ সেপ্টেম্বর বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চ সফল করতে যশোরে যাওয়ার অপরাধে শার্শার নিজামপুর, ডিহি ও গোগা ইউনিয়ন বিএনপি ১৫জন কর্মিকে পিটিয়ে জখম ও যুবদল নেতার হাত,পা ভেঙ্গে দিয়েছে আওয়ামী দূর্বৃত্তরা। ডিহিতে বিএনপি কর্মি লতার বাড়ি থেকে ছাগল ধরে নিয়ে গেছে। বন্ধ কওে দিয়েছে গোগা বাজারে ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি সিরাজুল ইসলামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রাইস মিল। আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়ি ছাড়া হয়েছে একাধিক বিএনপি নেতা কর্মি। এসব ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধা রাত সাড়ে ৭ টার দিকে নিজামপুর ইউনিয়নের একঝালা, ডিহি ইউনিয়নের সাড়াতলা ও গোগা বাজারে।
আওয়ামী সন্ত্রাসী ও দূর্বৃত্তদের হাতে আহতরা হলেন নিজামপুর ইউনিয়নের চান্দুড়িয়ার ঘোপ গ্রামের মৃত সুরোত আলীর ছেলে তাইজুল ইসলাম(৫৫), আব্দুস সালামের ছেলে যুবদল নেতা আহসান হাবিব টিটিু (৪৫), মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৬), রবিউল ইসলাম এর ছেলে হযরত আলী (২৫), মোঃ সেলিম হোসেনের ছেলে আবু রায়হান (২০), আব্দুল হামিদেও ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২৫), ইছা হকের ছেলে আব্দুল হাকিম(৩২), মহতাব আলীর ছেলে আবু বাক্কার (৪২), ডিহ ইউনিয়নের ডিহি গ্রামের হযরত আলীর ছেলে বিএনপি নেতা আনছার আলী(৫৮) ও তার ভাইপো শামছুর রহমান বিশ্সেবার ছেলে সবুজ হোসেন (২৬) ও গোগা ইউনিয়নের কালনি গ্রামের আবদুর রহমান(৫৫), ভুলোট ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আলী বদ্দি(৫৫) আমলাই গ্রামের আবু সাইদ (২৫), গোগা কলেজ পাড়ার ঝন্টু(২৭)।
এদের মধ্যে শার্শা বিএনপি নেতা আব্দুস সালামের ছেলে যুবদল নেতা আহসান হাবিব টিটিুর একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি নেতা আনছার আলী, তাইজুল, বিল্লাল হোসেন ও হযরত এর অবস্থা আশংক জনক। এ ৪ জনকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা স্থানীয় ভাবে প্রথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। স্ব স্ব এলাকার স্থানীয় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, গত মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চ সফল করতে যশোরে যাওয়ায় অপরাধে ঐ দিন সন্ধা রাতে নিজামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালামের নির্দেশে ও ওসমানের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সিরাজুল, লিটন, রিপন, ছোট লিটন, রশিদ, জুলফিকার, সাগর সহ আরও ১০/১২ জননিজামপুর ইউনিয়নের একঝালা বাজারে তান্ডব চালিয়ে বিএনপি নেতা কর্মিদের উপর হামলা করে আহত করে।
অপরদিকে ডিহি ইউনিয়নের ডিহি গ্রামের চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা রতন ও ছাত্রদল নেতা হারুন হত্যা মামলার প্রধান আসামী ডিহি গ্রামের কানা সিরাজের ছেলে গিয়াসের নেতৃত্বে শহিদুলসহ তার দুই ছেলে, রিয়াজ, কবির, হোটেল আনছার সহ ৮/১০ জন সাড়াতলা বাজারে বিএনপি নেতা আনছার আলীকে বেদম ভাবে মারপিট করে আহত করে। স্থানীয় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ডিহি ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক আব্দুস সামাম সামু খা কে তার বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আব্দুস সামাদ সামুর চাচা শ^শুর মারা গেলেও সন্ত্রাসীরা তাদে মরা বাড়িতে যেতে দেয়নি। সন্ত্রাসীরা এদিন বিএনপি কর্মি লতার বাড়িতে হামলা করে প্রায় ২৫ হাজার টাকা মুল্যের ১টি খাসী ছাগল লুট করে নিয়ে গেছে।
অপরদিকে একই দিনে সন্ধা রাতে খুলনার রোডমার্চ সফল করে বাড়ি ফেরার সময় গোগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তবিবর রহমান তবির নির্দেশে আওয়ামীলীগৈর চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী বাবুল মেম্বরের নেতৃত্বে মোহাম্মদ আলী, জিয়া, লাল্টু, আসাদ তান্ডব চালিয়ে বিএনপি নেতা কর্মিদের উপর হামলা করে বেদম ভাবে পিটিয়ে জখম করে। বন্ধ করে দেয় ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাইস মিল। আছাড় মেরে ভেঙ্গে দেয় যুবদল কর্মি ঝন্টুর ৩০ হাজার টাকা মল্যের একটি টাস্ মোবাইল।
আগামী নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে শার্শা উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধিরা মরিয়া হয়ে পড়েছে। যে কারনে তার বিএনপি’র অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। অনেক আওয়ামীলীগ নেতা কর্মিরা নিশ্চুপ হলেও চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগের কিছু নেতা কর্মি পরিবেশ নষ্ট করতে বিএনপি’র নিরিহ নেতা কর্মিদের উপর হামলা করছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আবুল হাসান জর্হি বলেন তারা শান্তিপূর্ন পরিবেশে শার্শার তৃনমুল নেতা কর্মিদের সাথে নিয়ে খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চ সফল করেতে কয়েকশ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবপাস, প্রাইভেটকার , পিকআপ, ট্রাক ও বাস যোগে যশোরেরর উদ্দেশ্যে নাভারন সাতক্ষীরা মোড় থেকে রওয়ানা হই।
এ সময় স্থানীয় আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা আচমকা শার্শার কামারবাড়ি মোড়ে নেতা কর্মিদের উপর হামলা করে, গাড়ি ভাংচুর করে, নাভারন মোড়ে পুলিশ গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়ে যাওয়ারপথে প্রবিন্ধকতা সৃষ্টি করে। এরপর ঝিকরগাছা থানার পুলিশও লাউজানি বাজাওে তাদের মাইক্রো ও বাস আটকিয়ে দেয়। আবুল হাসান জহির বলেন এরপরেও তার সাথে থাকা শতশত নেতা কর্মি পায়ে হেটে ও লোকাল বাস যোগে যশোর রোডমার্চ কর্মসুচিতে অংশ নেন। তিনি বলেন মঙ্গলবার রাতে নিজামপুর, ডিহি ও গোগা বাজারে বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতা কর্মিকে মারপিট করেছে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে আহতদের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান ও তাদের চিকিৎসার খোজ খবর নেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা থানার অফিসার ইন চার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম জানান, এসব ঘটনা থানা পুলিশকে কেউ জানাইনি। তবে এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কিউএনবি/আয়শা/২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:৩২