স্পোর্টস ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েও টানা তিন ম্যাচে হেরে সিরিজ খুইয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে তার চেয়েও বড় আঘাত হয়ে এসেছে ট্রাভিস হেডের ইনজুরি। ফর্মে থাকা এই বাঁহাতি ওপেনার চতুর্থ ওয়ানডের সময় জেরাল্ড কোয়েতজির বলে হাতে আঘাত পান। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামলেও ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় তিনবল পরই মাঠ ছাড়তে হয় দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটারকে। এই চোট তাকে ভারত সফরের দল থেকে ছিটকে তো দিয়েছেই, এমনকি তার বিশ্বকাপ খেলাও এখন সংশয়ের মুখে। বিশ্বকাপের প্রথমার্ধে তাকে যে অজিরা পাচ্ছেন না তা নিশ্চিত।
তবে বিশ্বকাপের পরের দিকেও তাকে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়েও সংশয় আছে। তাই বিশ্বকাপের দল নিয়ে নতুন করে ভাবছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাতে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যেতে পারেন মার্নাস লাবুশেন। এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড।
হাতের ইনজুরিতে বিশ্বকাপের প্রথমাংশে খেলা হবে না ট্রভিস হেডের। শঙ্কা আছে গোটা বিশ্বকাপ খেলা নিয়েই। ছবি: সংগৃহীত
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ওয়ানডের পর ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘(হেড কবে ফিরতে পারবে) এই মুহূর্তে পরিষ্কার নয়। ভালো খবর হচ্ছে, ওর অস্ত্রোপচার লাগছে না। তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে (বিশ্বকাপের) প্রথমার্ধে ওকে পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে ১৫ জনের মধ্যে রাখা হবে কি না—এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আছে।’
হেড যদি শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েন তবে ১৫ জনের দলে ঢোকার সম্ভাবনা আছে লাবুশেনের। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের দলে নেই টেস্ট ক্রিকেটের সাবেক নম্বর ওয়ান এই ব্যাটার। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে স্টিভ স্মিথের জায়গায় সুযোগ পেয়ে দারুণ পারফর্ম করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া এই ব্যাটার। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে এই সিরিজে সর্বোচ্চ ২৮৩ রান তুলে নিজের অবস্থান জানান দিয়ে রেখেছেন তিনি।
হেডের বদলি হিসেবে কাউকে নিলে যে লাবুশেনের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি, সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচক প্যানেলের হয়ে আমার বলা সাজে না, ওর জন্য ১৫ জনের দলের দুয়ার বন্ধও করে দিতে পারি না। তবে এটা নিঃসন্দেহ যে বদল করা হলে তারই (লাবুশেন) সম্ভাবনা বেশি।’
টেস্ট দলের অপরিহার্য সদস্য হলেও ওয়ানডেতে ধারাবাহিকতার অভাবে দলের ‘অটো চয়েজ’ হতে পারেননি লাবুশেন। তবে সবশেষ সিরিজে নিজেকে ভালোভাবেই মেলে ধরেছেন ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটার। ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘সে ১২ মাস আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি অগ্রগতি করেছে; বিশেষ করে ক্রিজে ইনটেন্ট দেখানো ও বোলারদের ওপর চাপ তৈরির দিক থেকে। সুযোগ পেয়ে সে কাজে লাগিয়েছে। ১৫ জনের স্কোয়াডে কোন পরিবর্তন হলে সে-ই এগিয়তে থাকবে।’
লাবুশেন যে বিবেচনায় ভালোভাবে আছেন তার প্রমাণ ভারত সফরের দল। ১৮ সদস্যের স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন তিনি। হেডের জায়গায় ডাক পেয়েছেন ম্যাথু শর্ট। ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দলে পরিবর্তনের শেষ সময় ২৮ স্পেটেম্বর। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ৮ অক্টোবর শুরু হবে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ অভিযান। তার আগে চলতি মাসের ২২, ২৪ ও ২৭ তারিখ ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে।