বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩১ অপরাহ্ন

টিআই হাবিবের বদলীতে ঝালকাঠির চালকদের মাঝে স্বস্তির নিশ্বাস

গাজী মো. গিয়াস উদ্দিন,ঝালকাঠি
  • Update Time : শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২৪০ Time View

গাজী মো. গিয়াস উদ্দিন,ঝালকাঠি : অবশেষে বদলী হলেন ঝালকাঠি ট্রাফিক পুলিশের বিতর্কিত পরিদর্শক (টিআই) হাবিব। বৃহস্পতিবার এ আদেশ সম্পন্ন হলেও শুক্রবার ঝালকাঠি ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব থেকে তাকে সড়িয়ে নেয়া হয়। জেলা পুলিশের ডি-ষ্টোরের দায়িত্বে ন্যাস্ত করে তাকে ঝালকাঠি পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে।ঝালকাঠি পরিবহন সেক্টরে দীর্ঘদিনধরে মুর্তিমান আতংকের নাম ছিলো টিআই হাবিব। পুলিশের এই কর্মকর্তার বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও হুমকি-ধামকিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছিলো পরিবহন ও মটরসাইকেল চালকরা।এর আগেও  দুইবার টিআই হাবিব ঝালকাঠিতে কর্মরত ছিলেন। আর্জেন্ট হিসেবে যদিও এর আগে কর্মরত  ছিলেন তিনি। যোগদান করেন এবার টিআই হিসেবে। আগেও দুই দুইবার ঝালকাঠির মানুষকে অতিষ্ঠ করেছিল। ওই সময়ও তার অপকর্মের কারণেই বদলি করা হয়।

জেলার বিভিন্ন স্থানে সকাল সন্ধ্যা নানা অজুহাত দেখিয়ে বিভিন্ন জাতের গাড়ী আটক করে টিআই হাবিব নিজেই। মোটরযান অপরাধ আইন অনুযায়ী যানবাহনে ত্রুটি বা চালকের অপরাধ হলে পজ মেশিন দিয়ে ঘটনাস্থলেই মামলা দেয়ার বিধান ধাকলেও হাবিবের বিধান ছিলো ভিন্ন। তিনি ধরন বুঝে মোটর সাইকেল ধরে ঘটনাস্থলে ব্যবস্থা না নিয়ে বাইক আটক করে নিয়ে যায় তার কার্যালয়ে সদর পুলিশ ফাঁড়ির অভ্যন্তরে লুকিয়ে রাখা হয় সেই গাড়ি। পরে সুযোগ বুঝে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিচ্ছে সেই গাড়ি। বেশ কিছুদিন অনুসন্ধান করে গনমাধ্যম কর্মীদের।কাছে প্রমান মেলে হাবিবের অর্থ বাণিজ্যের এসব চিত্র। তবে সম্প্রতী ঝালকাঠি পুলিশ সুপার বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সাধারন মানুষের কাছ থেকে হাবিব সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে থাকেন। আর এই তথ্য টিআই হাবিব বুঝতে পারায় কমে যায় হাবিবের অবৈধ বাণিজ্য।

মোটর সাইকেল আটক বানিজ্য ছাড়াও কুরিয়ার সার্ভিস, পার্সেল পরিবহন, কাভার্ড ভ্যান, টমটম, অটো রিক্সা ইজিবাইক এবং ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস থেকেও নিচ্ছে নিয়মিত মাসোয়ারা। এতে গাড়ি মালিকরা রীতিমত যেভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে, তেমনি পরিবহণ ব্যবসা গুটিয়ে ফেলারও উপক্রম দেখা দিয়েছে। টিআই হাবিবের বদলির এমন সিদ্ধান্তে পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বস্তির নি:শ্বাস ছেড়েছে যানবাহন চালক ও সংস্লিষ্টরা।তবে এসব অভিযোগ অকপটে অস্বীকার করেন ট্রাফিক পুলিশের অভিযুক্ত ইন্সপেক্টর হাবিব বলেন, ‘পুলিশ সুপার বেশ কিছুদিন ধরে আমার উপর অসন্তুষ্ট, তার কাছে কেউ হয়তো বলেছে আমি অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করি। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে টিআই থেকে ডি-ষ্টোরে বদলীটা আমার জন্য ভালো হয়েছে। আমি এখানে বেশ প্রেশানিতে থাকতাম।

 

 

কিউএনবি/অনিমা/১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/সকাল ১০:৪১

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit