শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন

পাহাড়ে অসংখ্য গণহত্যায় জড়িত শান্তিবাহিনীর নেতাদের বিচার দাবি;পিসিএনপি’র

আলমগীর মানিক,রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি।
  • Update Time : শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৩৯ Time View
আলমগীর মানিক,রাঙামাটি : রাঙামাটির লংগদু’তে স্মরণকালের বৃহত্তম গণহত্যা হিসেবে পরিচিত পাকুয়াখালী গণহত্যা দিবস স্মরণে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে  দোয়া মুনাজাত, শোকসভা ও শোক র‍্যালী অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে লংগদু উপজেলা সদরের মাঠ প্রাঙ্গনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ লংগদু উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খলিলুর রহমান এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান। 
এসময় অন্যানের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, মহাসচিব আলমগীর কবির, রাঙামাটি জেলা সভাপতি শাব্বির আহম্মেদ, খাগড়াছড়ি জেলাaর সদস্য সচিব এসএম মাসুম রানা, লংগদু উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন, পিসিএনপি লংগদু উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এবিএস মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আলমগীর হোসেন, ৩৫ কাঠুরিয়া পরিবারের শহীদ আলালউদ্দিনের সন্তান রাকিব হোসেন, গণহত্যার সময়ের প্রত্যক্ষদর্শী মো: হাকীমসহ পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি মো: হাবীব আজম, কলেজ আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, পৌর সভাপতি পারভেজ মোশারফ সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী মজিব বলেন, পাহাড়ে গণহত্যার দ্বায় সন্তু লারমা এড়াতে পারেন না। তারই নেতৃত্বাধী পাবর্ত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস’র সশস্ত্র শাখা শান্তি বাহিনীর হাতে অসংখ্য বর্বরোচিত, নাড়কীয় ও পৈশাচিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে পাবর্ত্য অঞ্চলের বাঙালিরা। অসংখ্য ঘটনার মধ্যে আজ শনিবার পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে একটি নৃশংসতম বর্বর গণহত্যা দিন, পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস।
১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পিসিজেএসএস এর সশস্ত্র শাখা শান্তিবাহিনী কর্তৃক রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীতে নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়াদের ওপর নিমর্ম নিযার্তনের পর হত্যাকান্ড চালিয়ে তাদের বীভৎস মানসিকতার এক জঘন্যতম জিংঘাসার স্বরূপ উন্মোচন করে। 
পাবর্ত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে এই দিনটি একটি নৃশংসতম বর্বর গণহত্যার দিন। এই দিনে ৩৫ জন নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়াকে নিমর্মভাবে হত্যা করেছিল শান্তি বাহিনী। তাদের ক্ষত-বিক্ষত, বিকৃত লাশের নিমর্ম দৃশ্য দেখে সেদিন শোকে ভারী হয়ে ওঠেছিল পরিবেশ। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে কুপিয়ে এবং বন্দুকের বেয়নেট ও অন্যান্য দেশী অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নানাভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল সেদিন অসহায় ওই মানুষগুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে শান্তিবাহিনী।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, মানবাধিকার এবং ন্যায়ের ভিত্তিতে পাবর্ত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই পাকুয়াখালী গণহত্যাসহ পাহাড়ে সকল বাঙালি গণহত্যাকান্ডের তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা প্রয়োজন। অন্যথায় পাবর্ত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা কোনোদিনই সফল হবে না। 
পাহাড়ে শান্তি  প্রতিষ্ঠায় ও সম্প্রীতি রক্ষায় সশস্ত্র অবৈধ অস্ত্রধারী ও দেশদ্রোহী সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে গণহত্যার দায়ে খুনি সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসা সহ তাদের সংগঠনের সকল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। শোকসভা শেষে ৩৫ জন শহীদ পরিবার ও একজন জীবিত ফিরে আসা মোঃ ইউনুস কে সহ মোট ৩৬ জনকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/রাত ৯:১৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit