ডেস্ক নিউজ : এ ঘটনায় নিহত আব্দুর রাজ্জাকের মা বাদী হয়ে নববধূ শাপলা খাতুনকে আসামি করে বাগমারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আর গ্রেফতারের পর প্রাথমিকভাবে স্বামীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন নববধূ।
তবে ঠিক কী কারণে বিয়ের মাত্র তিন দিন পরই নববধূ এমন নির্মমভাবে তার স্বামীকে হত্যা করেছেন তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া হত্যার কথা স্বীকার করলেও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এর সুস্পষ্ট কারণ সম্পর্কে মুখ খোলেননি শাপলা। সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সাঁইপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। বিয়ের মাত্র তিন দিন পর নববধূর বালিশ চাপায় মারা যান আব্দুর রাজ্জাক। এতে শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
রাজ্জাকের বোন আফরোজা বানু জানান, গত ২৫ আগস্ট পারিবারিকভাবেই তার ভাই আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বিয়ে হয় মোহনপুর উপজেলার শাপলা খাতুনের। বিয়ের পর সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু সোমবার (২৯ আগস্ট) রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে টিভি দেখছিলেন তার ভাই রাজ্জাক ও নববধূ শাপলা খাতুন।
এরপর ঘরের ভেতর থেকে হাঠাৎ চিৎকারের আওয়াজ শোনা যায়। এর কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে আসেন শাপলা। এ সময় ঘরে ঢুকে রাজ্জাককে মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনরা। পরে তাকে ঘরের দরজা আঁটকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করলে শাপলাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন তারা।
কিউএনবি/আয়শা/২৯ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ৯:৩০