স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় আগামী ৩০ আগস্ট শুরু হবে এশিয়া কাপ। স্বাগতিক দুই দেশের সঙ্গে খেলবে ভারত, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও নেপাল। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই শুরুর আগে অতীতের আসর গুলোতে চোখ রাখার চেষ্টা করেছি আমরা। ফিরে দেখা এশিয়া কাপের পঞ্চম ও শেষ পর্ব সাজানো হয়েছে ২০১৬, ২০১৮ ও ২০২২ আসর নিয়ে।
২০১৬: আবার ফাইনালে হার বাংলাদেশের
২০১২ ও ২০১৪ সালের পর ২০১৬ সালেও এশিয়া কাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। এবার প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আয়োজিত হয় আসর। ২০১৫ সালেই এশিয়া কাপের নিয়মের পরিবর্তন হয়। আইসিসি ইভেন্ট অনুযায়ী টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
২০১৬ সালে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় সেই বছর এশিয়া কাপ হয় ২০ ওভারের। ২০১৮ সালে আবার টুর্নামেন্ট ফিরে যায় ৫০ ওভারের ফরম্যাটে। ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে ফের এশিয়া কাপ হয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আর এ বছর যেহেতু ওয়ানডে বিশ্বকাপ রয়েছে, তাই এশিয়া কাপও হচ্ছে ওয়ানডে ফরম্যাটে।
২০১৬ সালে এশিয়া কাপের ত্রোয়োদশ আসরে স্বাগতিক বাংলাদেশের সঙ্গে অংশ নেয় ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। আরব আমিরাত বাছাই পর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে উঠে। এ পর্বে প্রতিটি দল একে অপরের সঙ্গে একটি করে ম্যাচে অংশ নেয়। এরপর শীর্ষ দুই দল উঠে ফাইনালে।
ভারতের বিপক্ষে হেরে আসর শুরু করলেও সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখে বাংলাদেশ। সেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় ভারতকে। বৃষ্টি বিঘ্নিত ফাইনালে অবশ্য ধোনির দলের বিপক্ষে পেরে উঠেনি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল। হেরে যায় ৮ উইকেটে।
২০১২ সালে ঘরের মাঠে প্রথমবার এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে ২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে কোনো ম্যাচ না জিতলেও ২০১৬ সালে ফের ফাইনাল খেলার মধ্য দিয়ে এই টুর্নামেন্টে নিজেদের বড় শক্তি হিসেবেই প্রতিষ্ঠা করে টাইগাররা।
এবারের আসরের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন সাব্বির রহমান। সবচেয়ে বেশি ১৭৬ রান করেছিলেন তিনি। সর্বাধিক ১১ উইকেট নেন আল-আমিন হোসেন।
২০১৮: সেই ভারতের কাছেই ফাইনালে শেষ বলে হার
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসে এশিয়া কাপের ১৪তম আসর। আবারও ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিরে এই টুর্নামেন্ট। ৬ দলের আসরে গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোর পর্ব পেরিয়ে ফাইনালে পা রাখে ভারত ও বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের আগের আসরেও যারা ফাইনাল খেলেছিল। তবে বাংলাদেশের ভাগ্য বদলায়নি এ আসরেও। শেষ বলে ভারতের কাছে হারতে হয়েছিল। ২২৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেটের কষ্টার্জিত জয় পেয়েছিল ভারত। বৃথা গিয়েছিল লিটন দাসের সেঞ্চুরি।
এর আগে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হারায় শ্রীলঙ্কাকে। এরপর গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারায় ১৩৬ রানে। সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ রান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৭ রানের জয় তুলে নেয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম।
আসরের সেরা খেলোয়াড় হন ভারতের শিখর ধাওয়ান। ৩৪২ রান করে ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সবচেয়ে বেশি ১০ উইকেট করে নিয়েছিলেন রশিদ খান, মোস্তাফিজুর রহমান ও কুলদিপ যাদব।
২০২২: বাংলাদেশের ভরাডুবি
আগের দুই আসরে ফাইনালে খেলা বাংলাদেশের ২০২২ সালের আসরে ভরাডুবি হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে এবার আবারও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ফিরে এশিয়া কাপ। গ্রুপ পর্বে টাইগাররা হারে নিজেদের দুই ম্যাচেই। প্রথম ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ও দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারে ২ উইকেট। ‘বি’ গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ যেখানে বিদায় নেয়, সেখানে আফগানিস্তান দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিয়ে সুপার ফোরে পা রাখে।
‘এ’ গ্রপ থেকে সুপার ফোরে খেলে পাকিস্তান ও ভারত। হংকং বিদায়।
সুপার ফোরের শীর্ষ দুই দল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান পা রাখে ফাইনালে। যেখানে লঙ্কানরা ২৩ রানের জয়ে ষষ্ঠবারের মতো এশিয়ার সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এ আসরে সেরা খেলোয়াড় হন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। সবচেয়ে বেশি রান মোহাম্মদ রিজওয়ানের (২৮১)। সবচেয়ে বেশি উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার (১১)।
কিউএনবি/আয়শা/২৯ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ৮:২১