আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এ বিষয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘১৮৬০ সালে দ্য ইন্ডিয়ান ভারতীয় পেনাল কোডের জায়গায় আসবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। ফৌজদারি কার্যবিধির স্থলাভিষিক্ত হবে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের স্থলাভিষিক্ত হবে ভারতীয় সাক্ষ্য। তিনটি বিল পর্যালোচনার জন্য স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে ।’
সংশোধিত আইনে রাষ্ট্রদোহ আইন বাতিল করা হয়েছে। এর পরিবর্তে বিচ্ছিন্নতা, সশস্ত্র বিদ্রোহ, নাশকতামূলক কার্যকলাপ, বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ বা সার্বভৌমত্ব বা ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতাকে বিপন্ন করার জন্য একটি নতুন অপরাধ যুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের সার্বভৌমত্ব, একতা এবং অখণ্ডতাকে বিপন্ন করার জন্য এই আইনকে ১৫০ ধারায় প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে।
১৫০ ধারায় বলা আছে, ‘যে কেউ, ইচ্ছাকৃতভাবে বা জেনেশুনে, শব্দ দ্বারা, হয় কথিত বা লিখিত, বা চিহ্ন দ্বারা, বা দৃশ্যমান উপস্থাপনা দ্বারা, বা বৈদ্যুতিক যোগাযোগের মাধ্যমে বা আর্থিক উপায় ব্যবহার করে, বা অন্যথায়, উত্তেজিত বা উত্তেজিত করার চেষ্টা করে, বিচ্ছিন্নতা বা সশস্ত্র বিদ্রোহ বা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ, বা বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের অনুভূতিকে উত্সাহিত করে বা ভারতের সার্বভৌমত্ব বা একতা ও অখণ্ডতাকে বিপন্ন করে; অথবা এই ধরনের কোনও কাজ করলে বা সংঘটিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং জরিমানাও দিতে হবে।’
প্রস্তাবিত আইনে নির্বাচনের সময় ভোটারদের ঘুষ দিলে এক বছরের কারাদণ্ডের কথাও বলা হয়েছে। এছাড়াও নতুন আইনে যেকোনও অপরাধকে লিঙ্গ নিরপেক্ষ করা হয়েছে৷ সংগঠিত অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সমস্যাকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নতুন অপরাধ এবং সংগঠিত অপরাধের জন্য প্রতিরোধমূলক শাস্তি যুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধের জন্য জরিমানা ও শাস্তির পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। প্রস্তাবিত নতুন আইনে গণধর্ষণের জন্য শাস্তি হতে পারে ২০ বছরের জেল থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে নতুন বিলে এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
লোকসভায় অমিত শাহ আরও বলেন, যেসব আইন বাতিল করা হয়েছে সেসব আইনের লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ প্রশানকে রক্ষা ও শক্তিশালী করা। সেসব আইনে সাজা দেয়া হতো কিন্তু ন্যায় বিচার দেয়া হতো না। আইনগুলোর পরিবর্তন করে যে নতুন তিনটি আইন প্রণয়ন করা হবে এই আইনগুলো ভারতীয়দের অধিকার রক্ষা করবে। তিনি বলেন, ‘সংশোধিত আইনের লক্ষ্য শুধু শাস্তি দেয়া না। এর লক্ষ্য ন্যায় বিচার প্রদান করা। অপরাধ বন্ধের মানসিকতা তৈরির জন্য এসব শাস্তি দেয়া হবে।’
কিউএনবি/আয়শা/১১ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ১১:০৫