পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মিজান পেশায় একজন রোস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ছিল। গত ৩-৪ দিন আগে তিনি চট্রগ্রাম থেকে নিজের বাড়িতে আসেন। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে তিনি মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে ঘর থেকে বের হয়ে হয়ে যান। রাত ৩টার দিকে তার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে দেখেন স্বামী ঘরে নেই। এরপর তিনি ঘরের সামনে গিয়ে দেখেন স্বামী গুরুত্বর আহত অবস্থায় ঘরের সামনে কাতরাচ্ছেন। পরে তার শৌরচিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে তার স্বামীকে উদ্ধার করে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার না থাকায় তাকে আরেকটি প্রাইভেটে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতাল থেকে তাকে নোয়াখালী জেলা শহরের প্রাহিম হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে রাতের অন্ধকারের তার ঘরের সামনে রেখে যায়। সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। নিহতের শরীরের একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কিউএনবি/অনিমা/৭ অগাস্ট ২০২৩,/দুপুর ২:৩৪