রায়ে আরও বলা হয়, ‘রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার প্রভাব শুধুমাত্র তার উপর পড়েনি। বরং তার সংসদ এলাকার মানুষের উপরও পড়েছে। সেই পরিস্থিতিতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শাস্তির উপর স্থগিতাদেশের প্রয়োজন আছে।’
একইসঙ্গে রাহুলের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মোদি’ পদবি নিয়ে যে মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে, রাহুলকে সেরকম মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকারও পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি পিএস নরসিমা ও বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, শুনানিতে যাবতীয় সওয়াল-জবাব শোনা হয়েছে। নির্দিষ্ট আদালতে মামলাটি বিচারাধীন আছে। ওই বিচারাধীন মামলার উপর যাতে কোনোরকম প্রভাব না পড়ে, সেজন্য মামলার ভিত্তি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কোনো মন্তব্য করবে না।’
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘সত্যমেব জয়তে (সত্যের জয় হয়েছে)। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে।’
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদি’ পদবি নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাটের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা রাহুলকে দু’বছর কারাদণ্ড দেন। এ সময় তার এমপি পদও স্থগিত করা হয়।
২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল কর্ণাটকের কোলারে একটি নির্বাচনী প্রচারে রাহুল বলেছিলেন, ‘কীভাবে সব চোরেদের পদবি মোদি হতে পারে?’ তার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি।
তার দাবি ছিল, মোদি পদবির সমস্ত মানুষকে অপমান করেছেন রাহুল। যদিও রাহুল বরাবরই দাবি করে এসেছেন, কোনো সম্প্রদায়ের মানুষের উদ্দেশ্যে ওই মন্তব্য করেননি তিনি।