মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১৬ অপরাহ্ন

সম্পর্ক সুদৃঢ় হওয়ার তিন আমল

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩
  • ১৮৩ Time View

ডেস্ক নিউজ : মান-অভিমান নিয়েই মানুষের জীবন। সব সময় একজন মানুষের মনোভুবন এক রকম থাকে না, সেখানে আসে কালবৈশাখী ঝড়, মনোমালিন্যের তুমুল বৃষ্টি। আবার কখনো উদিত হয় সুখের রংধনু। মনোজগতের খারাপ সময় থেকে উত্তরণের জন্য একজন মানুষের প্রয়োজন হয় অন্যের সহানুভূতি ও ভালোবাসার।

ঈমানের অপার্থিব স্বাদ পেতে হলেও এই ভালোবাসার প্রয়োজন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিনটি গুণ যার মাঝে বিদ্যমান সে ঈমানের স্বাদ পায়।১. যার কাছে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অন্য সব বস্তু থেকে বেশি প্রিয়। ২. যে একমাত্র আল্লাহর জন্যই কোনো বান্দাকে ভালোবাসে। ৩. আল্লাহ তাআলা কুফর থেকে মুক্তি প্রদানের পর যে কুফরে প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মতোই অপছন্দ করে।’ (বুখারি, হাদিস : ২১)

অন্য একটি হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ভালোবাসে, আল্লাহর জন্যই শত্রুতা পোষণ করে, আল্লাহর জন্যই কাউকে কিছু প্রদান করে এবং আল্লাহর জন্যই কিছু প্রদান করা থেকে বিরত থাকে; সে ব্যক্তি তার ঈমান পরিপূর্ণ করল।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৬০৭) একজন মুসলিমের পরম আরাধ্য এই ভালোবাসা সে কিভাবে অর্জন করতে পারে, এ বিষয়ের দিকনির্দেশনাও রয়েছে হদিসে।

সালাম প্রদান

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ঈমানদার ছাড়া কেউই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, আর তোমরা ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদের বলে দেব না যে কী করলে তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসার সৃষ্টি হবে? তা হলো, তোমরা তোমাদের মধ্যে সালামের প্রসার ঘটাবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৯৮)

হাদিয়া বা উপহার প্রদান

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা একজন অন্যজনকে উপহার দাও। উপহার মনের ময়লা দূর করে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২১৩০)

তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা পরস্পরে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের পারস্পরিক মহব্বত সৃষ্টি হবে।’ (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৫৯৭)

হাদিয়া ছোট কোনো বস্তু দিয়েও হতে পারে। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক প্রতিবেশী অন্য প্রতিবেশীকে বকরির পায়ের এক টুকরা ক্ষুর হলেও তা উপহার দিতে যেন অবহেলা ও তুচ্ছ মনে না করে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২১৩০)

ক্ষমা করা

মানবীয় মহৎ গুণাবলির অন্যতম হলো ক্ষমা করা। এর মাধ্যমে ক্ষমাকারী ব্যক্তি যেমন আত্মিক প্রশান্তি অনুভব করে, পাশাপাশি মানবকুল ও মহান রবের প্রিয় বান্দা হয়ে ওঠে। ক্ষমার ব্যাপারে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন, ‘বস্তুত ক্ষমা করাই তাকওয়ার বেশি নিকটবর্তী।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৩৭)

যিনি আল্লাহর ভালোবাসা পেয়ে গেলেন, তিনি যে মানবকুলের ভালোবাসা পাবেন, এটা তো বলাই বাহুল্য। এর সপক্ষে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ক্ষমা করে আল্লাহ তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮৬) আল্লাহ তাআলা সব মুসলমানের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি করে দিন। আমিন

 

কিউএনবি/আয়শা/১৬ জুলাই ২০২৩,/সন্ধ্যা ৬:১২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit