ঈমানের অপার্থিব স্বাদ পেতে হলেও এই ভালোবাসার প্রয়োজন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিনটি গুণ যার মাঝে বিদ্যমান সে ঈমানের স্বাদ পায়।১. যার কাছে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অন্য সব বস্তু থেকে বেশি প্রিয়। ২. যে একমাত্র আল্লাহর জন্যই কোনো বান্দাকে ভালোবাসে। ৩. আল্লাহ তাআলা কুফর থেকে মুক্তি প্রদানের পর যে কুফরে প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মতোই অপছন্দ করে।’ (বুখারি, হাদিস : ২১)
সালাম প্রদান
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ঈমানদার ছাড়া কেউই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, আর তোমরা ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদের বলে দেব না যে কী করলে তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসার সৃষ্টি হবে? তা হলো, তোমরা তোমাদের মধ্যে সালামের প্রসার ঘটাবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৯৮)
হাদিয়া বা উপহার প্রদান
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা একজন অন্যজনকে উপহার দাও। উপহার মনের ময়লা দূর করে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২১৩০)
তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা পরস্পরে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের পারস্পরিক মহব্বত সৃষ্টি হবে।’ (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৫৯৭)
হাদিয়া ছোট কোনো বস্তু দিয়েও হতে পারে। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক প্রতিবেশী অন্য প্রতিবেশীকে বকরির পায়ের এক টুকরা ক্ষুর হলেও তা উপহার দিতে যেন অবহেলা ও তুচ্ছ মনে না করে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ২১৩০)
ক্ষমা করা
মানবীয় মহৎ গুণাবলির অন্যতম হলো ক্ষমা করা। এর মাধ্যমে ক্ষমাকারী ব্যক্তি যেমন আত্মিক প্রশান্তি অনুভব করে, পাশাপাশি মানবকুল ও মহান রবের প্রিয় বান্দা হয়ে ওঠে। ক্ষমার ব্যাপারে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন, ‘বস্তুত ক্ষমা করাই তাকওয়ার বেশি নিকটবর্তী।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৩৭)
যিনি আল্লাহর ভালোবাসা পেয়ে গেলেন, তিনি যে মানবকুলের ভালোবাসা পাবেন, এটা তো বলাই বাহুল্য। এর সপক্ষে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ক্ষমা করে আল্লাহ তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৪৮৬) আল্লাহ তাআলা সব মুসলমানের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি করে দিন। আমিন