আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শেহবাজ শরীফ বলেন, আগামী ১২ জুলাই বহুপাক্ষিক ঋণদাতার বোর্ডের বৈঠকে এ ঋণ অনুমোদিত হবে। তিনি বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় চুক্তিটি হয়ে যাবে।
বেইল আউট হচ্ছে দেনার দায়ে বা মূলধনসংকটে পড়ে দেউলিয়া হওয়ার পথে কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্র বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সহায়তা করা। আট মাস আলোচনার পর, সার্বভৌম ঋণের আসন্ন খেলাপি এড়াতে উভয় পক্ষ শুক্রবার (১ জুলাই) বেলআউটের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, প্রথম কিস্তিতে পাকিস্তান ১১০ কোটি ডলার কিস্তি পাবে, তবে তহবিল বিতরণ করার আগে আইএমএফ বোর্ডের চুক্তির অনুমোদন প্রয়োজন।আইএমএফের এই ঋণের জন্য পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক্ষায় ছিল। ১৯৪৭ সালের ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতার পর এর চেয়ে বড় সংকটে আর পড়েনি দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশ।
পাকিস্তান নয় মাসে এই ৩০০ কোটি ডলার পাবে, যা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। দেশটি ২০১৯ সালে ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বেল আউট চুক্তি থেকে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাওয়ার আশায় ছিল। তবে এই ঋণ পাওয়ার জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে পাকিস্তানকে। কারণ এর নানা ধরনের শর্ত পূরণ করতে হবে। এরই মধ্যে গত ২৬ জুন দেশটির মূল সুদের হার রেকর্ড পরিমাণ বাড়িয়ে ২২ শতাংশে বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কিউএনবি/আয়শা/০৬ জুলাই ২০২৩,/রাত ৯:১৯