পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোয় যোগ দিতে চাওয়ায় গত বছর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধের মধ্যদিয়ে তা সম্পূর্ণ যুদ্ধে রূপ নেয়। যুদ্ধের কয়েক মাসের মধ্যে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটা অঞ্চল দখল করে নেয় রুশ বাহিনী।
রাশিয়া অধিকৃত ওই অঞ্চলগুলো উদ্ধারে গত কয়েক মাস ধরে পাল্টা অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নেয় ইউক্রেন। অবশেষে গত সপ্তাহে (৪ জুন) দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেই অভিযান শুরু হয়। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ারও (আইএসডব্লিউ) জানায়, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়েছে।
তবে পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি কিয়েভ। কিয়েভে থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক বলেন, জেলেনস্কি তার যোদ্ধাদের প্রতিনিয়ত প্রশংসা করছেন। হতাহতের ফলাফল নিয়েও তিনি কথা বলছেন। কিন্তু পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়েছে কিনা, এ নিয়ে মুখ খুলছেন না তিনি।
তবে গত মঙ্গলবার (৬ জুন) রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের পাল্টা অভিযান শুরু হয়েছে এবং এই অভিযান চালাতে গিয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ বাহিনীর ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। গত তিনদিনের যুদ্ধে ইউক্রেন ৩ হাজার ৭০০ সেনা হারিয়েছে। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ ট্যাংক, সাঁজোয়া যানসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামও হারিয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির বিশদ বর্ণনা দিয়ে সের্গেই শোইগু আরও জানান, ৪ জুন থেকে শুরু হওয়া লড়াইয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনী ৩ হাজার ৭১৫ জন সেনা, ৫২ ট্যাংক, ২০৭ সাঁজোয়া যান, ১৩৪টি গাড়ি, ৫টি বিমান, দুটি হেলিকপ্টার, ৪৮টি ফিল্ড আর্টিলারি ইউনিট এবং ৫৩টি ড্রোন হারিয়েছে।
সবশেষ এ বিষয়ে মুখ খোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার (৯ জুন) সোচিতে ইউরেশিয়ান ইকোনোমিক ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে পারি, ইউক্রেনের অভিযান শুরু হয়েছে। তবে ইউক্রেনীয় সেনারা এখনও একটা এলাকাতেও তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। তাদের সেনারা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
