এম সাজেদুল ইসলাম (সাগর) নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) : যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবাবেগের মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির পালিত হলো মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ।মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টায় দাউদপুর ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির নেতৃত্বে প্রভাত ফেরি, বর্ণাঢ্য র্যালী দাউদপুর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে দাউদপুর সঃ প্রাঃ বিশহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।এ সময়, দাউদপুর ব্লাড ডোনেশন সোসাইটি সহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার উৎসুক জনতা উপস্থিত থেকে আশপাশের ছাত্র-ছাত্রী ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে আলোচনা সভায় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মাহামুদুল নবী সিজার বলেন, মাতৃভাষা মহান আল্লাহর দান। তাই কোনো ভাষাকে অবজ্ঞা করা যাবেনা। মাতৃভাষাকে ভালোবাসতে হবে, মর্যাদা দিতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে মাতৃভাষা চর্চায় এগিয়ে আসতে হবে। মাতৃভাষা চর্চা বা ব্যবহারে ধর্মের সঙ্গে কোনো সাংঘর্ষিকতা নেই। আসলে মাতৃভাষাকে আমাদের মনে স্থান দিতে হবে।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালেই ঘোষণা দিয়ে ছিলেন আমরা যেদিন ক্ষমতায় আসবো সেদিন থেকেই বাংলা রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে চালু হবে, আর কোনো ঘোষণা লাগবে না।
প্রত্যেক জাতির আত্ম পরিচয়ের উপাদান থাকে, আর তা হচ্ছে ওই জাতির ভাষা ও সংস্কৃতি। বাঙালির হাজার বা তার ও কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে দেখা যাবে সে প্রতি নিয়ত বহিরা গত শক্র, শাসক গোষ্ঠী, দখলদারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। চিরকাল বাঙালি সংগ্রাম করে টিকে থেকেছে এবং সে অন্য ভাষা থেকে গ্রহণ করেছে কিন্তু নিজ ভাষাকে বর্জন করেনি। আরও একটি দিক লক্ষ্য করা যায় তা হচ্ছে বহিরা গত শক্তি এদেশে এসে শাসন করেছে, সম্রাজ্য বিস্তার করেছে। কিন্তু তার পরও তারা বাংলাভাষা ও সংস্কৃতি বিকাশে পৃষ্ঠপোষকত াকরেছে এবং এ ভাষা ও সংস্কৃতি থেকে কিছু নিয়েছে। তিনি শুদ্ধ ভাবে বাংলা চর্চা এবং বিশেষ করে কারিগরি ও চিকিৎসা বিদ্যায় বাংলা চর্চার ওপর জোর দেন।আলোচনাসভা শেষে মায়ের ভাষার জন্য যারা হাসতে হাসতে নিজের তাজা প্রাণ বিসর্জন দিয়ে আজ ইতিহাসের পাতায় নাম লেখিয়েছে সেই ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফে রাত কামনায় দোয়া করা হয়েছে। এ সময় দাউদপুর ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
কিউএনবি/অনিমা/২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/সকাল ১০:৪৩