বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন

দেশকে শিশুদের নিরাপদ আবাসভূমি করতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ : প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১১৯ Time View

ডেস্ক নিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার প্রিয় মাতৃভূমিকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’ তিনি বলেন, ‘শিশুদের কল্যাণের লক্ষ্যে আমরা একটি যুগোপযোগী ‘জাতীয় শিশুনীতি-২০১১ ও শিশু আইন-২০১৩’ প্রণয়ন করেছি। শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান করা হচ্ছে। প্রায় শতভাগ শিশু আজ স্কুলে যাচ্ছে।’

২৯ জানুয়ারি ‘জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা’ উপলক্ষে আজ শনিবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শিশুদের জন্য জাতির পিতার জীবন ও কর্মভিত্তিক বই প্রকাশ এবং পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরেছি। শিশুদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করে তাদের ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতার বিকাশ এবং আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে দল-মত নির্বিশেষে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ ও কল্যাণে আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করি এবং সকলে মিলে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’ তিনি বলেন, ‘তাদের (শিশু) বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতার সংগ্রামী জীবনের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে এবং জ্ঞান সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি তাদের দক্ষতা বিকাশের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমিও সেই লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় শিশু-কিশোরদের অধিকার এবং সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রকাশ করছে শিশু-কিশোরদের উপযোগী শিশুতোষ বই ‘আলোর ফুল’। 

তিনি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করেন। জাতিসংঘেরও ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে শিশু অধিকার আইন প্রণয়ন করেন জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্বাস করতেন শিশুরাই জাতি গঠনের ভিত্তি এবং ভবিষ্যতের কর্ণধার। তাদের বেড়ে ওঠার জন্য যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে তারা যোগ্য নাগরিক হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারবে।’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের পথ ধরে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আজকের শিশুদের মাঝে বিজ্ঞানের সর্বশেষ আবিষ্কৃত তথ্য-প্রযুক্তির সকল সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আমার প্রত্যাশা, ডিজিটাল বাংলাদেশের মতো আমাদের শিশু-কিশোররা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনেও জোরালো ভূমিকা রাখবে। ‘আলোর ফুল’ স্মারক গ্রন্থটি আমাদের শিশু-কিশোরদের সেই লক্ষ্য অর্জনে কিছুটা হলেও এগিয়ে দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

বাণীতে তিনি বাংলাদেশ শিশু একাডেমি কর্তৃক ‘জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২০ এবং ২০২১’- এর পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং শিশুর বিকাশ, শিশুর অধিকার রক্ষা ও শিশুবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ শিশু একাডেমি কর্তৃক ‘জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২০ এবং ২০২১’ – এর সার্বিক সাফল্য এবং সেই সাথে প্রাণপ্রিয় শিশুদের সুস্থ ও সুন্দর জীবন কামনা করেন।

 

কিউএনবি/আয়শা/২৮ জানুয়ারী ২০২৩/রাত ৮:৪০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit