ডেস্ক নিউজ : চিকিৎসাশাস্ত্রের অন্যতম শাখা হলো অস্ত্রোপচার। এটি একটি প্রাচীন চিকিৎসাব্যবস্থা, যাতে সুনির্ধারিত কার্যনির্দেশিকা এবং শল্য প্রয়োগ পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীর শারীরিক অসুস্থতার কারণ নির্ণয় অথবা চিকিৎসা করা হয়। এটি শল্য চিকিৎসা নামেও পরিচিত। যুগের পরিবর্তনে এই শাখায় অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে। নিখুঁত অস্ত্রোপচারে চিকিৎসাবিজ্ঞানে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। নিম্নে এমন কিছু মুসলিম মহামনীষীর বিবরণ তুলে ধরা হলো, যাদের পরিশ্রমে পৃথিবীবাসী এই অঙ্গনের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে এবং সফলতার মুখ দেখতে পেয়েছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে তাঁর লিখিত ‘কিতাবুল তাসরিফ’-এর মাধ্যমে। এটি ছিল চিকিৎসাসংক্রান্ত ৩০ খণ্ডের বিশ্বকোষ। সার্জারি থেকে শুরু করে মেডিসিন, ফার্মাকোলজি, অপথালমোলজি, অর্থোপেডিকস, প্যাথলজি, দন্তবিজ্ঞান, পুষ্টিবিজ্ঞান, শিশু চিকিৎসা- সবই স্থান পেয়েছে তাঁর এই গ্রন্থে। শল্য চিকিৎসার প্রক্রিয়া ও যন্ত্র নিয়ে তাঁর অবদান প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে আধুনিককালেও প্রভাব ফেলেছে। তাঁর রচিত ‘কিতাবুল তাসরিফ’ গ্রন্থে দুই শতাধিক অস্ত্রোপচারের সচিত্র বর্ণনা দিয়ে সে সময়কার চিকিৎসকদের বিস্ময়ে বিমূঢ় করে দেন তিনি। বর্তমান সময়েও সেগুলো চিকিৎসকদের বিস্মিত করে। তাঁর আবিষ্কৃত যন্ত্র কিছু কিছু বিষয়ে এখনো ব্যবহার করা হয়। আন্দালুসিয়ার খলিফা দ্বিতীয় আল-হাকামের উদ্যোগে আবুল কাসেমের ৫০ বছর নিরলস পরিশ্রমের ফল এই অমূল্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।
ইবনে সিনা
কিউএনবি/আয়শা/২৬ জানুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৭:৫৫