বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
১১১ কোটি টাকার বাংলো কাকে উপহার দিলেন কোহলি? কুড়িগ্রামে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত আরও ৩০ ফিলিস্তিনির নিথর দেহ ফেরত দিল ইসরায়েল দুর্দশায় কুড়িগ্রামের শিক্ষা: ৯ কলেজে কেউই পাস করেনি পশ্চিমা আগ্রাসন ঠেকাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ঐক্যের ডাক ইরানের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নওগাঁয় বৃক্ষরোপণ  রেকর্ড গড়েও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পার্বত্য ভূমি কমিশনের বৈঠক স্থগিতের ঘোষণা তিস্তা মহাপরিকল্পনার দাবিতে উত্তাল উত্তরাঞ্চল: পাঁচ জেলায় মশাল প্রজ্জ্বলন, রংপুর অচল করার হুঁশিয়ারি উপদেষ্টাদের কল রেকর্ড কোনো ব্যক্তি বা দলের নিকট থাকা ‘বেআইনি-ব্লাকমেইলিং’

নিউইয়র্ক আদালতে রিজার্ভ চুরির মামলায় বাংলাদেশের পক্ষে রায়

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১২৭ Time View

ডেস্কনিউজঃ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির মামলা বাতিলের দুই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন নিউইয়র্কের আদালত।

দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বা স্টেট কোর্ট ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন বা আরসিবিসি ও ছয় আসামির করা মামলা বাতিলের আবেদন ১৩ জানুয়ারি খারিজ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি এ মামলার অভিযুক্ত অপর আসামি কিম অংয়ের মামলা বাতিলের আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়।

নিউইয়র্কের আদালতের এ রায়ের ফলে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির মামলার অভিযুক্ত ফিলিপাইনের আরসিবিসি, কিম অংসহ ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা চলার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা নেই।

অভিযুক্তদের আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে এবং একইসঙ্গে মধ্যস্থতার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থ ফেরত আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ সোমবার এক বিবৃতিতে মামলার এই হালনাগাদ তথ্য জানিয়েছে।

বিএফআইইউ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর দ্য সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্ক বা ফেডারেল আদালতে ফিলিপাইনের বেসরকারি খাতের ব্যাংক আরসিবিসিসহ ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

চুরি হওয়া রিজার্ভের অর্থ উদ্ধারে এ মামলা করা হয়। পরে ওই মামলা বাতিলে সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করে আরসিবিসিসহ ছয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ফেডারেল আদালত ২০২০ সালের ২০ মার্চ মামলা বাতিলের ওই আবেদন খারিজ করে মামলাটি ফেডারেল আদালতের বদলে স্টেট কোর্টে পরিচালনার নির্দেশ দেন।

ফেডারেল আদালতের ওই নির্দেশনার পর ২০২০ সালের ২৭ মে নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোট তথা ডিস্ট্রিক্ট আদালতে নতুন করে মামলা করে বাংলাদেশ। নতুন আদালতেও মামলা বাতিলের আবেদন করে আরসিবিসিসহ ছয় আসামি। তাদের এ আবেদনের ওপর একাধিক দফায় শুনানি হয়।

এদিকে সর্বশেষ ১৩ জানুয়ারি নিউইয়র্ক ডিস্ট্রিক্ট আদালত যে রায় দিয়েছেন, সেখানে বলা হয়েছে, নিউইয়র্কের ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ক্ষেত্রে আরসিবিসির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যোগসাজশ ছিল। আরসিবিসির নিউইয়র্কের হিসাব এবং আরসিবিসির ফিলিপাইনের অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না থাকলে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে এ অর্থ অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ ছিল না।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে নিউইয়র্কের ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬২৩ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১০ কোটি টাকা) চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দুই কোটি ডলার শ্রীলঙ্কা থেকে উদ্ধার করা হয়। বাকি আট কোটি ডলারের বেশি ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চলে যায়।

সেখান থেকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সহযোগিতায় মাত্র দেড় কোটি ডলার উদ্ধারে সমর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। বাকি অর্থ উদ্ধারেই মামলা চলছে নিউইয়র্কের আদালতে।

কিউএনবি/বিপুল/১৬.০১.২০২৩/ রাত ৮.২৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit