আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত চীনে অন্তত ৬০ হাজার মানুষ করোনায় মারা গেছেন। জিরো কোভিড নীতি বাতিলের পর শনিবার চীনের সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুর এতো বড় সংখ্যা প্রকাশ করল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনা মহামারীর শুরু হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই চীনে জিরো কোভিড নীতি বাস্তবায়ন করা হয়। কিন্তু অর্থনীতিতে ধস নামায় অবশেষে গত ৮ ডিসেম্বর করোনা সংক্রান্ত সব বিধি-নিষেধ তুলে নেয় চীন সরকার।
যারা মারা গেছেন তাদের গড় বয়স ৮০.৩ বছর। যাদের প্রাণহানি ঘটেছে তাদের ৯০ শতাংশের বয়স ৬৫ বছর বা তার বেশি। গত মাসে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন কোভিড-১৯ রোগী, যারা শ্বাসতন্ত্র বিকল হয়ে মারা যাবেন কেবল তাদের সরকারি করোনায় মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিন বছরের বেশি সময় ধরে করোনা মহামারীর প্রকোপে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও চীন শুরু থেকেই এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক সামাজিক বিধি-নিষেধ আরোপ করে।
যা নিয়ে দেশটিতে সম্প্রতি বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। করোনা বিধিবিরোধী বিক্ষোভে জেরে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার ডিসেম্বরের শুরুর দিকে বিতর্কিত জিরো কোভিড নীতি বাতিলের ঘোষণা দেয়।
এছাড়া মহামারীর শুরু থেকে চীন এই ভাইরাসে আক্রান্ত এবং প্রাণহানির সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করছে না বলে অভিযোগ করে আসছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ডিসেম্বরে কোভিডের কঠোর বিধিনিষেধ বাতিলের পর দেশটিতে ভাইরাসটির ব্যাপক প্রকোপ শুরু হয়ে। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অভিযোগ করে, চীন করোনায় মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা গোপন করছে এবং অনেক কমিয়ে দেখাচ্ছে।
প্রকোপ বাড়তে থাকায় দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের উপচে পড়া ভিড় এবং শেষকৃত্য অনুষ্ঠান স্থলে লাশের দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে। করোনা মহামারীর এমন প্রকোপের পরিপ্রেক্ষিতে চীন থেকে আসা ভ্রমণকারীদের নেগেটিভ পরীক্ষার সনদ প্রদর্শনসহ নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
কিউএনবি/আয়শা/১৪ জানুয়ারী ২০২৩/রাত ৮:৫৮