আমিনুর রশীদ চৌধুরী রুমন, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : (মৌলভীবাজার) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৩ টুকরি ধান নিয়ে দুই কৃষকের মারপিটে গুরুতর আহত হয়েছেন কৃষকের ছেলে। গত (১৬) ডিসেম্বর ২০২২ ইং। শুক্রবার সকালে উপজেলার সিন্ধুরখান ইউনিয়নের দুর্গানগর গ্রামের দুই কৃষক ধান ভরা টুকরি নিয়ে কতা কাটাকাটির জের ধরে উভয় পক্ষের মারপিট শুরু হয়। এতে গুরুতর আহত হোন, কৃষক আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল জলিল (সাজু) বয়স (২২)। জানাযায় কৃষক আব্দুল খালেক তার নিজ বসতবাড়িতে পাকাফসল থেকে ধান বেড় করার জন্য পাশের বাড়ির কৃষক নুর উল্লা মিয়া কে বলেন। এতে নূর উল্লা মিয়া তার ধানের মেশিন দিয়ে ধানবের করে দেয়। এসময় তাদের মধ্যে ২০ টুকরি ধান বের করে দিলে ১ টুকরি ধান দিবে বলে জানায় আব্দুল খালেক।
এতে দেখা যায় সম্পুর্ন ফসলে মাত্র ১৩ টুকরি ধান বের করা হয় । এতে ভোক্তভোগীর শিকার হোন কৃষক নুর উল্লা মিয়া, তার এই কাজে ২ লিডার ডিজেল খরছ হয়েছে যার মূল্য ১২০ টাকা। মেশিন এনে কাজ করায় সে দাবি করেছে ১৩ টুকরি ধানের মধ্যে তাকে ৩ টুকরি ধান দেওয়ার জন্য। এ দাবি মানতে নারাজ কৃষক আব্দুল খালেক, তিনি অস্বীকৃতি জানালে কৃষক নুর উল্লা থাকে নগদ ৩০০ টাকা দিতে বলে ।এ সময় নগদ টাকা না দেওয়ার কারণে এ বিষয়ে সে অনেক কতাবার্তা বলে, এ সময় নুর উল্লা মিয়া’র সাথে তার সহযোগী ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সাইফুল মিয়া উপস্থিত ছিলো। উক্ত স্থানে আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রী জয়নব বিবি ও তাদের ১৪,বছরের শিশু ও আব্দুল জলিল সাজু (২২) বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে।
কৃষক নূর উল্লা মিয়া বেশি কতাবার্তা বলায় এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে রেগে উঠে ধাক্কা দিয়ে বাড়িতেকে চলে যাওয়ার কতা বলেন আব্দুল খালেক। এসময়ে তার দিকে চওড়া হয়ে তাকে আঘাত করে নূর উল্লা মিয়া। এতে দুই পক্ষের মারপিট হয়। এক পর্যায়ে মারপিটের সময় কালে মেশিনের কোন এক লোহার যন্ত্র দিয়ে কৃষক নুর উল্লা মিয়া,আব্দুল জলিলের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। উক্ত স্হানে এলাকাবাসী আসলে দেখা যায় আব্দুল খালেক এর বড় ছেলেকে আহত অবস্থায় মাঠিতে লুটিয়ে পড়ে থাকে, তার মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে যায়। তাৎক্ষণিক অবস্থায় আব্দুল জলিল সাজুকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৌলভীবাজার সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরদিন ১৭/১২/২০২২ খ্রিঃ আহত আব্দুল জলিলের মা জয়নব বিবি তার সন্তানকে গুরুতর যকম করার দায়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অভিযোগ করেন। তিনি আসামি হিসেবে চারজনকে দায়ী করেন। এর মধ্যে ১। নূর উল্লা মিয়া (৪০) ২। ইকবাল মিয়া (৩০) ৩।নজরুল মিয়া (২০) ও ৪। সাইফুল মিয়া(২৫)। এ বিষয়ে স্হানীয় মেম্বার কে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, ঘটনাটি ঘটার পর তিনি খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সময় রোগীকে হসপিটালে দেখতে যান, তিনি রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা বাবদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং পুলিশ প্রশাসন কে অবগত করে প্রত্যক্ষদর্শীদের সুষ্ঠু বিচারের ব্যবস্হা গ্রহন করবেন বলে জানান।
গতকাল ২৩/১২/২০২২ ইং। আব্দুল জলিলের পরিবার সহ গ্রামবাসীরা আহত আব্দুল জলিলের ওপর গুরুতর যকমের বিষয়ে আসামিদের বিচারের আওতায় আনার জন্য জুর দাবি জানান সাংবাদিকদের কাছে। এ বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলাপ করলে জানাযায় , মামলার তদন্ত চলছে এর সুষ্ঠু বিচার হবে। বর্তমানে নূর উল্লা মিয়া’ সহ অভিযোগ করা ৩ ব্যাক্তি এখনো পলাতক আছেন। তার পরিবারের এক সদস্য’র কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা সমাধানের জন্য মেম্বারের মাধ্যমে রোগীকে চিকিৎসা সেবার জন্য ১৮ হাজার দিয়েছি ।
কিউএনবি/আয়শা/২৪ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৭:০৩