ডেস্ক নিউজ : ব্রেস্ট ক্যান্সার শুধু নারীর সমস্যা নয়, পুরুষেরও হতে পারে। গতকাল সোমবার ব্রেস্ট ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতা কর্মশালায় এ কথা বলেন মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন। বেসরকারি সংস্থা কন্যার উদ্যোগে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি সম্পর্কে দেশের নারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদা পারভীন কর্মশালার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন, ‘নারীরা নিজেদের শরীর নিয়ে অনেক সময় সচেতন থাকে না। কিন্তু শরীর সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। আমাদের দেশে সচেতনতার অভাবে অনেক নারী ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। তাই আমাদের সবাইকে নিজেদের প্রতি সচেতন থেকে ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রতিকার সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করতে হবে। ’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ ক্যান্সার রোগী রয়েছে। প্রতিবছর মারা যায় প্রায় দেড় লাখ রোগী। প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতিবছর দুই লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। তবে দেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষের সঠিক সংখ্যা পাওয়া কঠিন। কারণ ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে জনসংখ্যাভিত্তিক কোনো তথ্য নেই।
কর্মশালায় কন্যার সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা কানিজ ফাতেমা বলেন, কন্যা ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে দেশের সব নারীর স্বাস্থ্য সচেতনতা ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে। নারীদের সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবায় কন্যা কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কন্যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে।
কর্মশালায় শতাধিক নারী ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং, সুগার টেস্ট ও অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। কর্মশালার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল এবং সুপার স্পেশালিটি সেন্টার। তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী অধ্যাপক ডা. আলী নাফিসা (সার্জারি ব্রেস্ট ক্যান্সার) প্রতিকার-প্রতিরোধ সম্পর্কে এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আইরিন আলম জয়তি মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে বক্তব্য দেন।
কিউএনবি/আয়শা/১৮ অক্টোবর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১:৩৫